রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

দেড় শ কোটি মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করুক

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের মিত্রবাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ মুক্তির লড়াইয়ে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছে। দুই দেশের যোদ্ধাদের রক্ত একাকার হয়েছে সে যুদ্ধে। রক্তের এ রাখিবন্ধন দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক বিকশিত করার ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে অর্ধশতাব্দী ধরে। দক্ষিণ এশিয়ায় পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক দৃষ্টান্তস্থানীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী এবং আগামী মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর সামনে রেখে দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেগবান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে কভিড-১৯ মোকাবিলায় একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার করেছে দুই দেশ। বাণিজ্য, উন্নয়ন অংশীদারি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানিসম্পদসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়েও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারতের পক্ষ থেকে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড়করণে অবদান রাখবে বলে আশা করছে উভয় পক্ষ। অমীমাংসিত বিভিন্ন সমস্যার গ্রন্থিমোচনে এ সফরকে ডেডলাইন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। সবকিছু পাল্টানো গেলেও প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না এ একটি বাস্তবতা। এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানে উভয় পক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে দুই দেশ যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে তাকে এগিয়ে নিতে হবে সুপ্রতিবেশী মনোভাবাপন্ন প্রায় দেড় শ কোটি মানুষের কল্যাণে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর