সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপির গণঅভ্যুত্থানের কল্পনাবিলাস

মহিউদ্দিন খান মোহন

বিএনপির গণঅভ্যুত্থানের কল্পনাবিলাস

বিএনপি নেতারা সুযোগ পেলেই গণঅভ্যুত্থানের কল্পনাবিলাসে নিজেদের ভাসিয়ে দিচ্ছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নতুন বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ বিএনপি মহাসচিবের এমন প্রত্যয়দৃপ্ত ঘোষণা সঙ্গত কারণেই সচেতন মহলে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। কেননা, সমস্যা-সংকটে জর্জরিত একটি রাজনৈতিক দল কী করে দেশে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করবে তা কারোরই বোধের মধ্যে আসছে না। কারণ তারা মনে করেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব। বিশেষত বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা (আসলে দুরবস্থা) সম্বন্ধে যারা সম্যক অবগত তারা বিএনপি মহাসচিবের ওই বক্তব্যকে আকাশ কুসুম কল্পনার সঙ্গেই তুলনা করতে চান। অবশ্য এর পরদিনই এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই। দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল। কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর? জনগণও এখন বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে হাসে’।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যে যে অতিশয়োক্তি নেই এটা অস্বীকার করা যাবে না। কেননা, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি নেতারা এ ধরনের ‘দুর্বার আন্দোলন’ আর ‘গণঅভ্যুত্থানে’র হুমকি অনেকবার দিয়েছেন। কিন্তু পরিণামে সেসব হুমকি বায়বীয় আস্ফালন হিসেবেই পর্যবসিত হয়েছে। বরং তারা নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থেকেছেন বেশি। তাও যদি সে ঘর ভালোভাবে সামলাতে পারতেন! এ পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থার যেসব খবর গণমাধ্যমে এসেছে, সেগুলোকে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সুখবর বলার কোনো অবকাশ নেই। বরং দলটি যে ভিতর থেকে ঘুণেধরা বাঁশের মতোই ভঙ্গুর অবস্থায় উপনীত হয়েছে, সে বিষয়টি প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

‘গণঅভ্যুত্থান’ শব্দটির ব্যাপ্তির কথা পুনর্বার বলার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এক সময়ের বামপন্থি ছাত্রনেতা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান খুব কাছ থেকে দেখা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তা ভালোভাবে জানা থাকার কথা। কোনো পরিস্থিতিতে একটি দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে, তা তিনি নিশ্চয়ই জানেন এবং বোঝেন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারছেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে সেরকম পরিবেশ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে কিনা। একটি সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানো তখনই সম্ভব, যখন সে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের তাবৎ বিরোধী দল একত্রিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ হয় এবং সে আন্দোলনে ব্যাপক জনসাধারণ তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে ও রাজপথে শামিল হয়। আমাদের এ দেশে দুবার সে ধরনের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। একবার পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে, আরেকবার স্বাধীন বাংলাদেশে আরেক স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে। এ দুটি গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাক্রম ও বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করলে একটি কমন বিষয় প্রতিভাত হয়ে উঠবে- তাহলো, আন্দোলনের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন। আর সে জনসমর্থন সংগঠিত করেছিল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে নেতৃত্বের পুরোভাগে ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে বন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পদত্যাগের দাবিতে তৎকালীন গোটা পূর্ব পাকিস্তান ফুঁসে উঠেছিল। তেমনি ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত এরশাদের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে পরিণত হয়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এটা পরিষ্কার যে, ব্যাপক জনসমর্থন ছাড়া কোনো আন্দোলনই গণআন্দোলনে রূপ নিতে পারে না, গণঅভ্যুত্থানও সংঘটিত হতে পারে না। আর জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হয় রাজনৈতিক দলগুলোকেই। সেজন্য তাদের থাকা প্রয়োজন প্রচ- সাংগঠনিক শক্তি এবং জনসম্পৃক্তি। বর্তমানে বিএনপির কি সে ধরনের সাংগঠনিক শক্তি আছে, যা দ্বারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে মাঠে নামতে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব?

প্রসঙ্গক্রমেই বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থার কথা এসে যায়। অবস্থা না বলে বরং দুরবস্থা বলাই ভালো। দলটির অভ্যন্তরীণ অবস্থার যেসব চিত্র মাঝেমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়, তাতে এর সাংগঠনিক শক্তি সম্বন্ধে আন্দাজ করা যায়। বলা যায়, একটি ভঙ্গুর অবকাঠোমোর ওপর তা দাঁড়িয়ে আছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে প্রতিষ্ঠার ৪২ বছরের মধ্যে বিএনপি বর্তমানে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় আছে। একদিকে দলটির চেয়ারপারসন আদালতের রায়ে দন্ডিত হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন, অন্যদিকে যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে, তিনিও আদালতের দন্ড মাথায় নিয়ে দূরদেশে অবস্থান করছেন। ফলে নেতৃত্বের শূন্যতা দলটিকে কান্ডারিহীন জলযানে পরিণত করেছে। আর দেশের ভিতরে থেকে যারা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়ের প্রচ- অভাব। সিনিয়র নেতাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের খবর মাঝেমধ্যেই বাইরে চলে আসছে। গত অক্টোবর মাসে দলটির তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে গণমাধ্যমে কিছু খোলামেলা কথা বলেছিলেন। তাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বের প্রতি সিনিয়র নেতাদের আস্থাহীনতার বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে।

সাম্প্রতিককালে পত্র-পত্রিকায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনোটিই আশাব্যঞ্জক নয়। বরং দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দ্বন্দ্ব-কোন্দল, রেষারেষি এবং একে অপরকে কোণঠাসা করার কসরতের বিষয়টিই সামনে চলে আসছে। গত বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে বিএনপিতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কারও কাছেই অভিপ্রেত বলে মনে হয়নি। ১৪ ডিসেম্বর কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা বা দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই হঠাৎ করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে শোকজ নোটিস জারি করা হয় ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ (অব.) এবং শওকত মাহমুদের প্রতি। তারা উভয়েই সেই কারণ দর্শাও নোটিসের জবাব দিয়েছেন। শওকত মাহমুদ লিখিতভাবে দিলেও মেজর হাফিজ লিখিত চিঠির পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। তার সেই সংবাদ সম্মেলনের সুবাদে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। উল্লেখ্য, বিএনপি হাইকমান্ড শওকত মাহমুদকে ক্ষমা করে দিলেও মেজর হাফিজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তাকে নাকি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ পর্যবেক্ষণের বিষয়টি মেজর হাফিজের জন্য দ্বিতীয়বার অপমানজনক বলে মনে করছেন রাজনীতি অভিজ্ঞমহল। শেষ পর্যন্ত তার কপালে কী আছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে দলটির সাংগঠনিক দুরবস্থার কথা এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত পদ-পদবি নিয়ে কাড়াকাড়ি দলটিকে করে তুলেছে বিশৃঙ্খল। এমন কোনো জেলা-উপজেলা নগর-মহানগর নেই যেখানে কমিটি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল নেই। ওইসব দ্বন্দ্ব-কোন্দলে কেন্দ্রীয় কিছু পদস্থ নেতা ইন্ধন জোগান বলে তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘সংকট পিছু ছাড়ছে না বিএনপির’ শীর্ষক খবরটির দিকে চোখ রাখা যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ২০১৬ সালের কাউন্সিলের পর এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। নতুন কোনো আশার আলো দেখাতে না পারায় মামলায় জর্জরিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও হতাশায়। তবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর দলে কোনো সংকট আছে বলে স্বীকার করেন না। তার মতে সংকট রয়েছে সরকারে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপি এখন অনেক বেশি সুসংহত ও শক্তিশালী বলে মনে করেন তিনি। আর বিএনপির অঘোষিত উপদেষ্টা এবং গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, ‘বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে। এর মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আস্থায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের আশার আলো দেখাতে হবে। নেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইতিবাচক ধারায় রাজনীতি করতে হবে’। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কপাল ভালো যে তিনি বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা নন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সংগঠক। নইলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার এ অভিপ্রায় ব্যক্ত করার পরে তার সদস্য পদ থাকত কিনা সন্দেহ। কেননা, বিএনপি এখন চলছে রিমোট কন্ট্রোলে। সেই রিমোট যার হাতে তার সম্পর্কে এদিক-সেদিক কথা বলার পর কেউ বিএনপিতে অক্ষত থাকবে এটা ভাবনারও বাইরে। এর আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘বিএনপিতে কোন্দলে ব্যস্ত নেতারা’ শিরোনামে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল, তাতেও দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিরাজমান দ্বন্দ্ব-কোন্দলের বিষয়টি বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, দল পুনর্গঠনের নেওয়া উদ্যোগ নেতাদের দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে সফল হতে পারছে না। দলটির ৮২টি জেলা কমিটির মধ্যে বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। এগুলোর মধ্যে ৩১টি জেলায় রয়েছে আহ্বায়ক কমিটি।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির পক্ষে কোনো গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দেওয়া সম্ভব তা কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ওইসব কল্পনাবিলাস থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি নেতৃত্বের বাস্তবতা অনুধাবনে মনোনিবেশ করা দরকার। ২০১৫ সালে সরকারের পতনের লক্ষ্যে তিন মাসের লাগাতার আন্দোলনের ফলাফল কী হয়েছিল দলটির নেতাদের নিশ্চয়ই তা স্মরণে থাকার কথা। রাজপথে না নেমে চোরাগোপ্তা বোমা হামলার মাধ্যমে দলটি সন্ত্রাসবাদের অপবাদ অর্জন করেছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকার সারা দেশে দলটির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে নাশকতার মামলার আসামি বানিয়ে এর শিরদাঁড়া বাঁকা করে দিয়েছে। অনেকের মতে, তিন মাসের ওই কথিত অবরোধই বিএনপির জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তো আবার যদি গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিএনপি কোনো ভুল পথে পা রাখে তা হবে তাদের জন্য আত্মহত্যার শামিল।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপির প্রয়োজন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের সামনে বিকল্প থাকতে হয়। সে হিসেবে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের বিকল্প এখনো বিএনপি। রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই বিএনপির টিকে থাকার দরকার আছে। তবে, নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলটি বারবার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তাই গণঅভ্যুত্থানের কল্পনার ফানুস না উড়িয়ে দলকে সুসংগঠিত করার দিকে তাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার। আর তা করতে হলে দল থেকে সবরকম দ্বন্দ্ব-কোন্দল দূর করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যরে সম্পর্ক গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। তবে, প্রশ্ন হলো আত্মস্বার্থ নিয়ে মশগুল বিএনপি নেতারা কি সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন?

            লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। 

সর্বশেষ খবর