সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

এইচএসসি ফলাফল

করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত বছরের এপ্রিলে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা মহামারীর কারণে পরীক্ষা ছাড়াই অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শনিবার এইচএসসি ও সমমান ২০২০-এর ফল প্রকাশ করেছে সরকার। ফলাফলে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার গড় মানের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমানের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমানের ৭৫ শতাংশ গড় নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ফল প্রস্তুত করা হয়। ফল নির্ধারণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আট সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফলাফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। এইচএসসিতে ঢালাওভাবে পাস বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর জোগান নিশ্চিত করবে। তবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়ো চান না উপাচার্যদের কেউ কেউ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষে যারা ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের ক্লাস হয়নি বললেই চলে, পরীক্ষাও হয়নি। এ অবস্থায় তাড়াহুড়ো করে নতুনভাবে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা সমীচীন হবে না। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই এই পরীক্ষা নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর