শিরোনাম
বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে সেনাশাসন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু হোক

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে সেনাসমর্থিত দলের ভরাডুবির পর কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়। কিম্ভূূত সে অভিযোগ নিয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ক্ষমতালিপ্সু সেনাপতিদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সোমবার নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর আগেই সেনাবাহিনী টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতার করে দেশের শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি এবং শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকে। অং সান সু চি অবৈধ সেনাশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমন একসময় মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটল যখন বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে সে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের ফলে তাদের প্রত্যাবর্তন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। মিয়ানমারে গত শতকের অর্ধেক সময় সেনাশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখা হয় জননন্দিত নেত্রী সু চিকে। গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অহিংস লড়াইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ২০১০ সালে মুক্তি পান সু চি এবং ২০১১ সালে শুরু হয় গণতান্ত্রিক সংস্কার। ২০১২ সালের উপনির্বাচনে ৪৫ আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় সু চির এনএলডি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। সে সরকারের মেয়াদ শেষে গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এনএলডি বড় জয় পায়। কিন্তু সেনাসমর্থিত ইউএসডিপি ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুপ্রতিবেশী হিসেবে আমরা আশা করব সে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। ক্ষমতার পরিবর্তন সত্ত্বেও দেশটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকবে এবং তা দ্রুত শুরু হবে। ফিরিয়ে নেওয়া হবে বাংলাদেশে আশ্রিত তাদের নাগরিকদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর