বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নকল মদের কারখানা

ঠান্ডা মাথার খুনিদের কড়া শাস্তি দিন

দেশে অবৈধভাবে মদ তৈরির শত শত কারখানা গড়ে উঠেছে। মদ্যপায়ীর বড় অংশ এসব কারখানার নকল ও মানহীন মদের ওপর নির্ভরশীল। নকল-ভেজাল মদ খেয়ে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মদ্যপায়ী মারা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই দিনে বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মারা গেছেন ১২ জন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর ভাটারায় আবিষ্কার করেছে অবৈধ মদের কারখানা। এ অভিযোগে আটক করা হয়েছে ছয়জনকে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর একসময় ভাঙাড়ি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। এখন তিনি নকল মদের কারখানার ‘চিফ কেমিস্ট’। রাশিয়ান, স্কটিশ, সুইডিশ ও ইংলিশ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের নাম করে তিনি মূলত স্পিরিট, রং আর ভাত পচানো পানি দিয়ে বানাতেন বিষাক্ত মদ। তার সহযোগী হিসেবে আটক করা হয়েছে মনতোষ চন্দ্র অধিকারী ওরফে আকাশ, রেদুয়ান উল্লাহ, সাগর বেপারী, নাসির আহমেদ ওরফে রুহুল ও সৈয়দ আল আমিন নামে আরও পাঁচজনকে। গত কয়েক দিনে ভাটারায় তিনজন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একজন ও মোহাম্মদপুরে দুজনের মৃত্যু হয়। প্রত্যেকেই মদপানের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে গোয়েন্দা পুলিশ এবং রাজধানীর ভাটারার খিলবাড়ীর টেক এলাকার একটি বাড়ির দোতলায় নকল বিদেশি মদের কারখানা আবিষ্কার করে। নকল মদের ব্যবহার প্রতি বছর শত শত মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী। যারা অবৈধ পথে নকল মদ তৈরিতে জড়িত তারা অপরাধী শুধু নয় ঠান্ডা মাথার খুনি। এদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এমনটিই প্রত্যাশিত। পাশাপাশি সারা দেশে যারা অবৈধভাবে মদ তৈরি করছে তাদের ওপর আঘাত হানা হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর