শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রকল্প পরিকল্পনায় গলদ

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রধানমন্ত্রী যেসব কর্মকর্তার গাফিলতিতে প্রকল্প পরিকল্পনায় গলদ থেকে যাচ্ছে বা যাদের কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত বুধবার একনেকের বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশের কথা। বাংলাদেশে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া অনেক ক্ষেত্রে নিয়মে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হচ্ছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কল্পিত সব যুক্তি দেখিয়ে। স্মর্তব্য, একনেক সভায় সংশোধনের জন্য উপস্থাপিত ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির মেয়াদ তিন বছর এবং ব্যয় প্রায় ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব আসায় প্রধানমন্ত্রী ওই নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনে অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী সময় ও ব্যয় বাড়ানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে বলেন। ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার প্রকল্পটিতে আরও ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ বাড়িয়ে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা করা হয়। পাশাপাশি ২০২১ সালের জুনে যেখানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা এখন ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, শুধু এ প্রকল্পটির বিষয়ে নয়, সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর ওই নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে জাতীয় বাজেটের পরিসর ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর এক বড় অংশ ব্যয় হয় সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতনভাতা, সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চালাতে। জনগণের কল্যাণে সরাসরি কাজে লাগে এমন ব্যয় মোট ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি নয়। অথচ সেগুলোর বাস্তবায়নে চলে তেলেসমাতি। সরকারি কোনো ভবন নির্মিত হলে বছর না যেতেই তার প্লাস্টার খসে পড়ে। নির্মাণকাজে রডের বদলে বাঁশ বা কুঞ্চি ব্যবহার অহরহ ঘটছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি কর্তাব্যক্তিদের একাংশের খাসলতে পরিণত হয়েছে।

এ প্রবণতা রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন শুধু নয়, দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর