রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের বিকাশই পারে কলঙ্ক মুছতে

গোলাম মোহাম্মদ কাদের

গণতন্ত্রের বিকাশই পারে কলঙ্ক মুছতে

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর ২০২০ সালের রিপোর্টে দুর্নীতির ধারণা সূচকে আবার আমাদের লজ্জার মুখোমুখি হতে হলো। বিশ্বব্যাপী জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৬তম। সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের দুর্নীতি আগের বছরের চেয়ে আরও দুই ধাপ এগিয়ে গেছে। ২০১৯ সালের রিপোর্টে দুর্নীতিতে খারাপের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল ১৪তম স্থানে। এক বছর পরে অর্থাৎ বিগত বছরে সেই দুর্নীতি আরও এগিয়ে ১২তম হয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। এর পরে শুধু আফগানিস্তান। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৩১টি দেশ আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বনিম্নের তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে। শুধু কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার চাইতে এগিয়ে আছি আমরা।

দুর্নীতি আজ সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। এ কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে হবে, কোনো সরকারই চাইবে না তাদের শাসনাধীনে রাষ্ট্রে দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক কিংবা দুর্নীতির বিস্তার ঘটুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো দুর্নীতি আছে, থাকছে এবং তার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে। দেশপ্রেমিক সব শক্তিই চাইবে সামাজিক এ ব্যাধি থেকে মুক্তি আসুক। সে মুক্তির জন্য প্রথমেই খুঁজতে হবে এ বিষবৃক্ষের উৎপত্তিস্থল। কেন দুর্নীতি শাখা-প্রশাখা বিস্তারে সুযোগ পাচ্ছে।

সচেতন প্রত্যেক মানুষ একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে, দুর্নীতি বিস্তারের অন্যতম প্রধান উৎসটা কোথায়। এক বাক্যে বলা যাবে তা হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ঘাটতি। রাষ্ট্রে যদি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা না থাকে তাহলে সার্বিক জবাবদিহির ঘাটতি ও সুশাসন তিরোহিত হয়। আর সুশাসন না থাকলেই আইনের শাসন থাকে না, সামাজিক ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে সার্বিকভাবে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়।

গণমাধ্যম সার্বিকভাবে সমাজের জবাবদিহি বিস্তারে সহায়ক। যদি বাধাহীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় তাহলে দুর্নীতি, অনিয়ম, অত্যাচার, অবিচার বন্ধে অধিকতর কার্যকর হতে পারে গণমাধ্যম। সে অর্থে এটা গণতন্ত্রায়ণে বা জনগণের শাসনে সহায়ক হতে পারে একই সঙ্গে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্রের দুঃশাসন দুর্নীতি বিস্তারে বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে। গণতন্ত্রায়ণে ও সে কারণে দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যম বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা একে অন্যের পরিপূরক। গণমাধ্যমকে সে পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

আমরা এখন দলিল-দস্তাবেজে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি। গণতন্ত্র অর্থ জনগণের শাসন। জনগণের শাসন এক ব্যক্তির শাসন নয়। কিন্তু কার্যত সেটাই দৃশ্যমান। ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিন জোটের রূপরেখায় বিশ্বাস করে তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। তারপর বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয়ে মিলে সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করল। তার জন্য দেশে গণভোটও আয়োজন করতে হয়েছে। কিন্তু সেই সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত হলো ভিন্ন নামের একনায়কতন্ত্র।

সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০ সংযোজন করা হলো। এ ধারাটি একনায়কতন্ত্র সচল রাখার সাংবিধানিক সহায়ক শক্তি। ফলে যে শাসন পদ্ধতি তৈরি করা হলো তা সংসদীয় শাসনব্যবস্থা তো নয়ই সেখানে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজনের ফলে সরকারপ্রধানকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া থাকে। তাহলে সংসদ সব ক্ষমতার ও সে কারণে সব কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবে তা হওয়াই সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল নির্যাস। এ বিষয়ে আমরা সংবিধানের দিকে আলোকপাত করতে পারি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ ৭০। (১) ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে।’

সংসদ (আইনসভায়) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যে দল লাভ করে তার মধ্য থেকেই (সাধারণত সে দলের প্রধানকেই) সরকারপ্রধান নির্বাচন করা হয়। সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থন দ্বারা সংসদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগেই বলা হয়েছে সরকার গঠনকারী দল সব সময়ই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে, ৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজনের কারণে তার ব্যত্যয় করা সম্ভব হয় না। ফলে সরকারপ্রধান সব সময়ই সংসদে নিজ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে যে কোনো সিদ্ধান্ত সংসদে পাস করতে সক্ষম হয়। এ কারণে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজনের ফলে বিদ্যমান বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের আইনসভা সম্পূর্ণ সরকারপ্রধানের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়। সংসদ বা আইনসভা নিজ থেকে সরকারের ইচ্ছা/ অনিচ্ছার বাইরে কিছুই করতে সক্ষম নয়।

ওয়েস্টমিনস্টার টাইপ সংসদীয় গণতন্ত্র যা আমরা চর্চা করি বলা হয় সে সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, ‘আমাদের সংসদ এতটাই ক্ষমতাশালী যে সেখানে পুরুষকে মহিলা বা মহিলাকে পুরুষ করা ছাড়া আর সবকিছু করা সম্ভব।’ আমাদের সংসদ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সংসদ ক্ষমতাহীন ও নির্বাহী বিভাগের বা তার প্রধানের অধীন। বাস্তবে নির্বাহী বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের স্থলে সংসদ নির্বাহী প্রধানের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকছে।

সংবিধানে আছে সরকারপ্রধান নির্বাহী বিভাগের প্রধান [সংবিধানের ৫৫ (১)। “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে।” ও (২) “প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান-অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে।”]; অর্থাৎ সার্বিক নির্বাহী বিভাগের প্রধান, সরকারপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রী।

এখন দেখা যাক সংবিধানে বিচার বিভাগের অবস্থান। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ ‘হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন সকল (আদালত ও ট্রাইব্যুনালের) উপর উক্ত বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা থাকিবে।’ ও ১১৬ অনুচ্ছেদের ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি-মঞ্জুরীসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান (রাষ্ট্রপতির) উপর ন্যস্ত থাকিবে।’ অনুচ্ছেদ ১০৯ ও ১১৬-এর অবস্থা সংঘর্ষিক বলা যায়। একই দায়িত্ব দুই বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে অধস্তন আদালতকে নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতকে সেটা দেওয়া হয়নি। ফলে অধস্তন আদালতসমূহ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারপ্রধানের অধীন। উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী এসব কাজে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলবেন এ বিধান আছে। উচ্চতর আদালতের বিচারপতি নিয়োগের অধিকার সরকারপ্রধানের। সে হিসেবে উচ্চতর আদালত তার প্রভাবমুক্ত নয়।

এক কথায় রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান প্রতিষ্ঠানসমূহ, যেমন নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা সম্পূর্ণভাবে ও বিচার বিভাগের সিংহভাগ সরকারপ্রধান বা এক ব্যক্তির অধীন রয়েছে। সরকারপ্রধানের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার বাইরে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রায় সব বিষয়ে একজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও সেটা নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকাই হচ্ছে একনায়কতন্ত্র। এখানে জনগণের অংশগ্রহণের কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে এটাকে গণতন্ত্র বলা যায় না।

এখানে আর একটি বিষয় উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিসংশন (্অপসারণ) করার ক্ষমতা সংসদকে দেওয়া ও দুই তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে তা কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমান সংসদে সরকারি দলের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিদ্যমান। ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে এসব সংসদ সদস্য সরকারপ্রধানের ইচ্ছা মোতাবেক কাজ করতে বাধ্য। মর্জি হলে বা তার নির্দেশ না মানলে সরকারপ্রধান উচ্চ আদালতের যে কোনো বিচারককে সংসদের মাধ্যমে অপসারণের ক্ষমতা লাভ করতেন। সে ক্ষেত্রে বিচারকরা চাকরি রক্ষার প্রয়োজনে ন্যায়বিচারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হতেন, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের রায়ে বিষয়টি গ্রহণীয় হয়নি। তবে হলে একজন সরকারপ্রধান রাষ্ট্র পরিচালনার তিনটি প্রধান প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকাঠামোর মূল স্তম্ভসমূহ যেমন নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হতেন। সেটা সম্ভব হলে গণতন্ত্রের মোড়কে দেশে সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্রের নজির সৃষ্টি হতো। এখনো হয়নি তবে বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভাগ্য যে সে প্রয়াস এখনো বিদ্যমান শোনা যায়।

স্মৃতির বিস্মৃতি না ঘটলে অনেকেরই মনে পড়বে দলগতভাবে জাতীয় পার্টির শাসনামল ছিল ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় কিন্তু দেশ দুর্নীতিগ্রস্তের বদনাম কুড়ায়নি। কারণ তখন দেশে রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থা চলমান থাকলেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে কোনো ঘাটতি ছিল না। জবাবদিহি বিদ্যমান ছিল। পরে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কার্যত একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের সুযোগে সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক অবৈধ সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় দুর্নীতির বিস্তার ঘটতে থাকে। ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ ভাগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ধারণা সূচকে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে সমগ্র বিশ্বে শীর্ষস্থানে পৌঁছে যায় এবং তার ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের বিএনপির মেয়াদে পরপর চারবার দুর্নীতির ধারণা সূচকে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে।

১৯৯১-এর পর থেকে বারবার মানুষ এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করছে। সুযোগ পেলেই সরকার পরিবর্তন করছে। কিন্তু পেয়েছে একই জিনিস, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একই দলীয়করণ, অনিয়ম, দুর্নীতি ন্যায়বিচারের ব্যত্যয়। প্রয়োজন ছিল শাসন পদ্ধতির গণতন্ত্রায়ণ ও ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি। এ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহযোগিতা দিয়ে শক্তিশালী করা। প্রকৃত প্রস্তাবে ১৯৯১-এর পর থেকে এসব খাতে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার ফলে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অধঃপতনে ধারাবাহিকতা চালু আছে।

তবে কলঙ্কের ইতিহাস স্মরণ করে আমরা আর অধঃপতনের দিকে যেতে চাই না। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে আমাদের মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে- এটাই এ সময়ের বড় কথা। তার জন্য প্রথম প্রয়োজন যে ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে দেশ দুর্নীতির সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে সে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা। অর্থাৎ যথার্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জনগণের কাছে সরকার ও সমাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র বিকশিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হয়। আইনের শাসন বা এক কথায় ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পেলেই কোনো ধরনের অপরাধ মাথা চাড়া দিতে পারে না। লেখক : চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।

সর্বশেষ খবর