বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট

দায়ীদের আইনের আওতায় আনুন

বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে রোহিঙ্গাদের সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে গমন নিত্যকার ঘটনা। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা থাকছে সেসব দেশে। বিভিন্ন দেশে আইন ভঙ্গ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িয়ে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিপন্ন হয়ে পড়ার পেছনে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গাদের অপকর্ম অনেকাংশে দায়ী। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশকে তাগিদ দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা যেহেতু অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে সেসব দেশে গেছে সেহেতু তাদের দায় অস্বীকার করাও বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের প্যারালাল হিসেবে অফিস গড়ে ওঠার যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা বিস্ময়কর বললে কম বলা হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস-লাগোয়া জাতিসংঘ পার্কের পাশের ভবনে একটি বিল্ডিংয়ে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেওয়ার ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’। এ অফিসে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা দিলেই কয়েক দিনের ব্যবধানে রোহিঙ্গারা পেয়ে যায় পাসপোর্ট। এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন এমন এক ব্যক্তি যিনি পাসপোর্ট দালালি করতে গিয়ে একাধিকবার আটক হয়েছেন। তিন সহযোগীর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরিতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করেন। প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করা হয়। রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট আবেদনের সঙ্গে জাতীয়তা, জন্মনিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবই সরবরাহ করে দালাল চক্রের সদস্যরা। পাসপোর্ট অফিসের কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্য, তারা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। পাসপোর্ট অফিসের কাছে জালিয়াত চক্রের প্যারালাল পাসপোর্ট অফিস প্রমাণ করে তারা ঠিক কথা বলছেন না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর