শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দীপন হত্যার রায়

জঙ্গিবাদ নিরুৎসাহকরণে ভূমিকা রাখুক

ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার ঘোষিত ওই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। কারাগারে আছেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। রায় ঘোষণার সময় আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে মামলার কাগজপত্রে রয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যার অংশ হিসেবে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের জন্য জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসামিদের কারও ভূমিকা ছোট-বড় করে দেখার সুযোগ নেই। যারা বই প্রকাশের দায়ে মানুষ হত্যা করতে পারে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু। স্মর্তব্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে খুন হন দীপন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। ১৬ মাসের মাথায় আদালতে রায় দেওয়া হলো। দীপন হত্যা ছিল মুক্ত মত ও বিবেকের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তিই কাম্য ছিল। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আদালত সে রায়ই দিয়েছে। জঙ্গিবাদ নিরুৎসাহে এ রায় অবদান রাখবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর