শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

ভোটকে কেন্দ্র করে উৎসবী পরিবেশ কাম্য

স্থানীয় সরকারকে বলা হয় জনগণের সরকার। এ সরকারব্যবস্থার কয়েকটি স্তর থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গেই দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষের সরাসরি সম্পর্ক। বর্তমানে দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৩। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজার ৩২১টিতে এবং অন্যান্য সময়ে ১৬২টিতে ভোট হয়েছে। ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনের সময় শেষ হচ্ছে ৭৫২ ইউনিয়নের। এ ছাড়া ৩০ মার্চ ৬৮৪, ২২ এপ্রিল ৬৮৫, ৬ মে ৭৪৩, ২৭ মে ৭৩৩ এবং ৩ জুন শেষ হবে ৭২৪ ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী এবারও দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মে মাসে দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। মার্চেই বিপুলসংখ্যক ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন কমিশন ঈদের পর নির্বাচন করতে আগ্রহী। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়ায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় অথচ সমাজসেবী হিসেবে সুনাম আছে এমন সুশিক্ষিত অনেকেই নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তৃণমূল পর্যায়ে দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় বহু এলাকায় রাজনৈতিক রেষারেষি হচ্ছে এবং তা নির্বাচনী পরিবেশের জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে। নির্বাচনব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা জিইয়ে রাখতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সেদিকে ইসিকে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয়, পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ আস্থার সংকটে ভুগছে। ভোটকে কেন্দ্র করে এখন উৎসবী পরিবেশ গড়ে উঠছে না। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর