শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের বিচার

যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অতীতে যা ঘটেনি তেমনটিই ঘটছে এখন সিনেটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের বিচার শুরু হওয়ার মাধ্যমে। নির্বাচনে সুস্পষ্টভাবে পরাজিত হওয়ার পরও ট্রাম্প নিজেকে জয়ী দাবি করে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। ৬ জানুয়ারি দেশটির আইনপ্রণেতা অর্থাৎ কংগ্রেস ও সিনেট সদস্যরা ভোটের ফলাফল অনুমোদনের জন্য ক্যাপিটলে অধিবেশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন। সে অধিবেশন বানচাল করতে ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর সমর্থকরা আইনপ্রণেতাদের ওপর হামলা চালায়। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ এ অপচেষ্টার মাধ্যমে ট্রাম্প সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। হামলার দিন এবং এর আগে তিনি নিজেই ‘প্রধান উসকানিদাতা’ হিসেবে কাজ করেছেন। বিচারের সময় আবেগঘন বিবৃতিতে অভিশংসনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সহিংস ঘটনার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। নিরাপত্তা ফুটেজে দেখা যায়, দাঙ্গাকারীরা আইনপ্রণেতাদের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। ভিতরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। মিথ্যা অভিযোগের সমর্থনে সেদিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চলমান এ বিচার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং অসাংবিধানিক। ১০০ আসনের সিনেটে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার। তবে এখনো পর্যন্ত সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা ট্রাম্পের প্রতি অনুগত থাকায় তিনি রেহাই পেয়ে যাবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সিনেটের বিচারে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার শতভাগ প্রমাণ হাতে থাকলেও দুই তৃতীয়াংশ সিনেটর সে অভিযোগ সমর্থন না করলে কোনো কাজে আসবে না। সিনেটে দ্বিতীয় অভিশংসনের ফলাফল যাই হোক, সে দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবা হতো দুনিয়ার সবচেয়ে সভ্য ও মানবিক দেশ। ট্রাম্প সে মর্যাদাকে ক্ষুণœ করেছেন নানাভাবে। বিচার প্রক্রিয়া তা পুনরুদ্ধারে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে বলে মনে করা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর