রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভেজাল প্রসাধনী

অভিযান ও নজরদারি বাড়াতে হবে

প্রসাধনীর বাজারে ভেজাল ও নকল পণ্যের ছড়াছড়ি নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা ভোক্তাদের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদই বটে। আমরা জানি অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নাগরিকের নানা প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের রুচি তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি প্রসাধন কোম্পানির বাজার বেড়ে চলেছে। এ খাতের সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড পণ্যেরও ক্রেতা মেলে রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। কিন্তু বাজার সয়লাব ভেজাল ও নকল পণ্যে। পুরান ঢাকার চকবাজার ও কামরাঙ্গীর চরে অভিযান চালিয়ে তিনটি নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানাকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল দিয়ে প্রসাধনসামগ্রী উৎপাদন ও প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে সেগুলো বাজারজাত করায় এসব জরিমানা। এ সময় কারখানা তিনটি থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। এসব পণ্যের গুণগত মান আশা করা বাতুলতা। বরং নকল পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন চর্মরোগের শিকার। প্রসাধনী বাবদ বিপুল রাজস্ব পাওয়ার বদলে চর্মরোগের পেছনে জাতীয় ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে! পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক ভেজাল ও নকল পণ্যের পসরা অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে ৩ শতাধিক কারখানা ও গুদাম। এমন অভিযোগও রয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতাতেই ভেজাল সিন্ডিকেট কাজ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে ভেজাল পণ্য উৎপাদন গুরুতর অপরাধ; যা বন্ধে এমন অভিযান অন্যান্য এলাকায়ও চালাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি চালাতে হবে নিয়মিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর