শিরোনাম
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আন্ধারমানিক হাসান পারভেজ

হানিফ সংকেত

আন্ধারমানিক হাসান পারভেজ

একসময় দেয়াল পত্রিকাকে বলা হতো লেখক তৈরির চারাগাছ। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, ভাবের আদান-প্রদান, সাহিত্যচর্চা এবং সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেয়াল পত্রিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত দেয়াল পত্রিকা একটি চর্চিত শিল্পমাধ্যম। প্রাচীনকাল থেকেই মুদ্রণযন্ত্র, টাইপরাইটার এবং কম্পিউটার ব্যবহার হওয়ার আগে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাতে লেখা সাহিত্যপত্রের বেশ প্রচলন ছিল।

‘দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে

লিখি কথা।

আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার

স্বাধীনতা।।’

শিশুকালে দেয়ালের ওপর কয়লার আঁচড় কেটে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এভাবেই নিজের সৃজনশীল প্রতিভার প্রকাশ করেছিলেন। কবি সুকান্তের মতো অনেক কবি-সাহিত্যিক-লেখকের লেখার সূচনা হয়েছিল এ দেয়াল পত্রিকা থেকেই। অর্থাৎ এ দেয়ালিকা থেকেই জন্ম নেয় আগামী দিনের সম্ভাবনা।

তবে এবার এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব, যিনি এই উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মুদ্রণযন্ত্রে ছাপানো রংবেরঙের নানান পত্রিকার ভিড়ে নিভৃত পল্লীতে বসে আপন মনে দেয়াল পত্রিকার মতোই হাতে লিখে প্রকাশ করে যাচ্ছেন ভিন্নধর্মী এক পত্রিকা, ‘আন্ধারমানিক’। যিনি স্বীকৃতি, প্রাপ্তি বা প্রচার কোনো কিছুরই মুখাপেক্ষী নন।

আর এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের খোঁজে ‘ইত্যাদি’র টিম নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর তীরে অবস্থিত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবুজেঘেরা পশ্চিম সোনাতলা গ্রামে। আর এ গ্রামে বসেই হাতে লিখে বানানো পত্রিকার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দিনমজুর হাসান পারভেজ। যিনি নিজেকে নিয়ে নয়, ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়েও ভাবেন সমাজের অন্য মানুষদের কথা। বাড়িসংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর নামানুসারে পত্রিকাটির নামকরণ করেছেন আন্ধারমানিক। আন্ধারমানিক শব্দটির দুভাবে অর্থ করা যায়। যেমন-যে মানিক আঁধারে ঢাকা পড়ে আছে, আবার আঁধারেও যে মানিক জ্বলজ্বল করে। আমরা দুটি অর্থই হাসান পারভেজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। নিভৃত প্রান্তিক গ্রামের নিতান্তই একজন শ্রমজীবী মানুষ হয়ে যে কাজটি তিনি করছেন তা মানিকের মতো তো বটেই। অর্থাৎ নিভৃত পল্লীতে অন্ধকারের মধ্যেই যেন জ্বলজ্বল করছে একটি মানিক। শিক্ষার অভাব, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এ নিভৃত পল্লীতে হাসান পারভেজের আন্ধারমানিক পত্রিকা যেন অন্ধকারের আলো। হাসান পারভেজের মতে এটি একটি কমিউনিটি পত্রিকা। হত্যা, খুন, ধর্ষণের মতো নেতিবাচক কোনো খবর থাকে না হাসানের পত্রিকায়। থাকে ইতিবাচক, ভালো খবর। গ্রামের একেকজন মানুষের জীবনের গল্প একেক রকম। কারও সফলতার, কারও প্রাপ্তির, কারওবা রয়েছে সুখ-দুঃখের গল্প। সেই গল্পগুলোকে হাসান নিপুণ শিল্পীর মতো তুলে ধরেন তার হাতের লেখা এ পত্রিকায়।

কখনো মাছ ধরে, কখনো মাটি কেটে, কখনো বা ইটভাটায় শ্রম বিক্রি করে তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে হয় হাসানকে। এত অর্থকষ্টের মধ্যে থেকেও হাসান গ্রামময় চষে বেড়ান খবরের সন্ধানে। হাসানের স্ত্রী শাহনাজও তাকে এ কাজে সহায়তা করেন। শাহনাজ দুঃখ করে বললেন, ‘অনেক কষ্টে আমাগো সংসার চলে। বাড়িতে ডাল নাই, চাল নাই-পোলামাইয়া কী খাইবে সেদিকে হাসানের খেয়াল নাই। কিছু বললেই বলে, ওরা গরিব ওদের কথা বলার কেউ নাই, আমাদের আল্লায় দেবে।’ তার সব চিন্তা এ গ্রামের অসহায়-গরিব মানুষদের নিয়ে। তাদের খবর দিয়েই সাজান পত্রিকা। যে খবরে কোনো অসত্য তথ্য নেই, নেই কোনো তথ্য বিকৃতি।

স্ত্রী ছাড়াও হাসানের এ কমিউনিটি পত্রিকার জন্য ১৫ জন নারী ও পুরুষ সাংবাদিক রয়েছেন যারা এ গ্রামেরই বাসিন্দা এবং খেটে খাওয়া মানুষ। কেউ কৃষক, কেউ শ্রমিক, কেউবা দিনমজুর। তারা ঘুরে ঘুরে এ গ্রামের সমস্যার কথা, সম্ভাবনার কথা, মানুষের মনের কথা সংগ্রহ করেন।

এত অর্থকষ্টে থেকেও হাসান হাসিমুখে প্রতিদিন একটু একটু করে লিখে দুই পৃষ্ঠার এ পত্রিকাটি ফটোকপি করেন। এরপর নিজ বাড়ির উঠোনে রোদে শুকিয়ে তারপর নিজেই পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছে দেন। পত্রিকাটি শুকানোর জন্য একটি প্লাস্টিকের ত্রিপল পর্যন্ত কিনতে পারেননি। পাটের ছালা কিংবা মাদুর বিছিয়ে পত্রিকা শুকাতে দেন। তারপরও কারও কাছে হাত পাতেন না। খেপুপাড়া থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এ সোনাতলা গ্রাম। প্রত্যন্ত এলাকা বলে এখানে তেমন কোনো পত্রপত্রিকা আসে না। তাই এ আন্ধারমানিকই এখানকার মানুষের জন্য একমাত্র পত্রিকা। এ পত্রিকার মাধ্যমে হাসান এ সোনাতলা গ্রামের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একাত্ম করেছেন। নিয়ে এসেছেন একই ছাতার তলে।

হাতে লিখে বের করতে হয় বলে মাসে একটি করে পত্রিকা প্রকাশিত হয়। নিজে না খেয়ে থাকলেও এ পত্রিকার মাধ্যমে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ গ্রামের বহু মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে হাসান। হাসান চেয়ারম্যানও নন, মেম্বারও নন-তারপরও প্রতিদিন সকালে হাসানের ঘরের সামনে অনেক দুস্থ-অসহায় মানুষ এসে তাদের কষ্টের কথা বলে সহযোগিতা চায়। হাসান সবাইকে সাধ্যমতো উপকার করতে চেষ্টা করেন। নিজে না খেয়ে থাকলেও গ্রামের বহু মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন হাসান। গ্রামের কার ঘরে চাল নেই, মাথাব্যথা হাসানের। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে ওষুধ কিনে দেওয়া, কাউকে দূরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, কারও জন্য একখানা ভিজিএফ কার্ড করে দেওয়ার জন্য ধরনা দেওয়া থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষদের জন্য সব ধরনের সেবামূলক কাজ করেন হাসান। হাসান সম্পর্কে স্থানীয় বাজারের মুদি দোকানদার সোলেমান মিঞা বলেন, ‘হাসান আমাদের গ্রামের দুঃখ-দুর্দশার কথা সবাইরে জানায়। সবাই তার কাছে দুঃখের কথা বলে। হাসান মন দিয়ে তাদের কথা শোনে।’ সীমিত সাধ্যে যতটুকু সম্ভব সবার উপকার করতে চেষ্টা করে হাসান। অর্থ দিয়ে না পারলেও শ্রম দিয়ে করেন, আর এ শ্রমটাই হাসানের সম্বল।

১৯৯৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলেও সাংসারিক অভাব-অনটন আর অর্থাভাবে হাসান সেই পরীক্ষা দিয়েছেন ২০১৫ সালে। সারাদিন দিনমজুরি করেও ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, এবার লক্ষ্য বিএ পাস করা। জানেন না অর্থাভাবে সেটাও সম্ভব হবে কিনা।

লেখালেখিতে ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক ছিল হাসানের। হাসান বলেন, ‘এ লেখালেখির কারণেই কোথাও যেয়ে কাজ করে আমি টিকতে পারি নাই। সবসময় আমার মাথায় থাকত লেখালেখি। সেজন্য কোনো মালিকই আমাকে রাখতেন না। স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করার জন্যই আমি দিনমজুরি করি। ভালো লাগলে আজকে কাজ করলাম, ভালো না লাগলে কালকে সেটা করব না। কারও সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই না, স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। সেজন্য কলম ধরেছি- লিখব গ্রামের খবর, গ্রামের মানুষের খবর।’

হাসানের লেখা অনেক খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা উপকৃত হয়। এতে হাসানের আনন্দ হয়।

হাসানের লেখার কারণেই পাল্টে যায় ভাইরাল হওয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রুবিনার জীবন। মানসিক প্রতিবন্ধী মাকে শিকলবন্দী করে বৃদ্ধা নানিকে পাহারায় রেখে শিশু রুবিনা যেত তাদের জন্য খাবারের সন্ধানে। শিশু রুবিনার এ করুণ চিত্রটি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ‘আসমানী’ কবিতা অবলম্বনে হাসান তুলে ধরেছিলেন তার কমিউনিটি পত্রিকা আন্ধারমানিকে, -

‘রুবিনাকে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও

তৈয়বআলীর ছোট্ট বাড়ি হোসেনপুরে যাও’।

হাসানের এ লেখা ফেসবুকে পোস্ট করার পর সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। ওঠে আসে গণমাধ্যমেও। উপকৃত হয় রুবিনা। ফিরে যায় ভাগ্য। এখন আর রুবিনা তালপাতার ঘরে থাকে না। ইটের গাঁথুনিতে তৈরি হয়েছে পাকা বাড়ি। হাসানের লেখায় এমনি অনেকের ভাগ্য ফিরলেও হাসানের ভাগ্য ফেরেনি, থেকে যাচ্ছেন অন্ধকারেই। এ যেন সুকান্তের সেই কবিতার মতো-যে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে প্রতিদিন রাতে অথচ নিজেই থেকে যায় জ্বালানো বাতির নিচে জমে থাকা অন্ধকারে। তবুও হাসানের কলম থামেনি। ইতিবাচক খবর তুলে ধরা ও মানুষের কল্যাণের জন্য তার প্রাণপন চেষ্টা চলতেই থাকে। আর তাই অন্ধকারের আলো হয়ে আন্ধারমানিক নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে হাসানের হাত ধরেই।

কথা বলেছিলাম এই আত্মপ্রত্যয়ী যুবক হাসানের সঙ্গে। জানতে চেয়েছিলাম, ‘হঠাৎ করে এই হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করার ইচ্ছে হলো কেন?’

চটপট উত্তর দিলেন, ‘প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকাগুলোতে মানুষ নেতিবাচক খবর দেখেন-পড়েন। যা আমার কাছে ভালো লাগত না। তাই ইতিবাচক খবর তুলে ধরার জন্য এই কমিউনিটি পত্রিকা বের করেছি। পত্রিকা খুললেই দেখি মারামারি-হানাহানি-হত্যা-খুন-ধর্ষণ এগুলো পাঠে আমরা নেতিবাচক চিন্তায় জর্জরিত হই। আজকে যারা শিশু ভবিষ্যতে এ অসুস্থতার বীজ তাদের ভিতরে ঢুকে যাবে। তাহলে ওরা ভালো চিন্তা করতে পারবে না। সেই জন্যই আমি অন্তত আমার গ্রামে এই ইতিবাচক চিন্তাধারার একটা কমিউনিটি পত্রিকা প্রকাশ শুরু করলাম।’ পুরো গ্রামের মানুষই তার পত্রিকার পাঠক, বিশেষ করে যারা পড়তে পারেন।

জানতে চেয়েছিলাম, ‘কেন সবাই তার পত্রিকা পড়েন?’

উত্তর যেন তৈরিই ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা আঞ্চলিক ভাষার সুরেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, ‘আমার এইখানে শ্রমজীবী মানুষের সফলতার গল্প থাকে। কার ভালো ফলন হয়েছে, কেন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে, কার পুকুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ মাছ হয়েছে, কে গবাদিপশু পালন করে লাভবান হয়েছে-যা পইড়া মানুষের ভিতরে একটা ইচ্ছা হয়-ও পারলে আমি পারমু না ক্যান? আমিও করি। আমার এখানে মানুষ আনন্দের সঙ্গে ওই খবর পাঠ করবে, ভালো চিন্তা করবে, ভালো হওয়ার চর্চা করবে।’ এভাবেই তো ভালো কাজের সমষ্টিতে একটা গ্রাম আলোকিত হয়। নেতিবাচক কাজগুলো চাপা পড়ে যায়।

জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘সবার দুঃখকষ্টের কথা লিখলেও নিজের দুঃখ-কষ্ট বা অসহায়ত্বের কথা কেন লেখেন না?’

মাথা নিচু করে উত্তর দিলেন হাসান, ‘নিজের কথা নিজের পত্রিকায় লিখতে লজ্জা লাগে। মানুষ কী বলবে-ঐটা আত্মপ্রচার হইয়া যাবে। এইটা ঠিক না।’

এ কথাটি হাসান বুঝলেও আমাদের সমাজে অনেকেই তা বোঝেন না। আর তাইতো নির্লজ্জের মতো আত্মপ্রচার করে আত্মপ্রসাদ লাভের চেষ্টা করেই যাচ্ছে। সবশেষে জানতে চেয়েছিলাম, ‘তার শেষ ইচ্ছে কী?’ কাঁপা গলায় দৃঢ়ভাবেই বললেন, ‘আমি ডিগ্রি পাস করতে চাই। এটা আমার স্বপ্ন।’ আর হাসানের এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আমরা ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে কেয়া কসমেটিকসের পক্ষ থেকে তার লেখাপড়ায় সহায়তার জন্য ২ লাাখ টাকা প্রদান করেছিলাম।

প্রিয় পাঠক, আমরা এ নগর জীবনেও দেখি যার অনেক ক্ষমতা আছে, আছে প্রচারের অঢেল সুযোগ-সুবিধা, তাদেরও প্রায় সব কাজের মধ্যে আত্মপ্রচারটাই প্রধান হয়ে ওঠে। এসব সুযোগসন্ধানী চরিত্রগুলোর পাশাপাশি হাসান পারভেজের কষ্টকৃত কাজকে সাধনার মতো মহৎ মনে হয়। কারণ এ প্রচার সর্বস্বতার যুগেও হাসান হতে চাননি কোনো প্রচার মাধ্যমের অতি ব্যবহৃত মুখ। কাজ করে যাচ্ছেন, নীরবে নিভৃতে। হাসানদের খুঁজে পেতে হয়-খুঁজে আনতে হয় অনেক কষ্ট করে। আত্মপ্রচার, আত্মপ্রসাদ, আত্মপ্রদর্শনীর জন্য হাসানরা কাজ করেন না। করেন দায়বদ্ধতা থেকে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা দিয়ে যেমন মহাদেশ গড়ে ওঠে, বিন্দু বিন্দু জলকণা দিয়ে যেমন মহাসাগর গড়ে ওঠে-সেভাবেই হাসানের ক্ষুদ্র প্রয়াস দিয়ে গড়ে উঠেছে একটি শুভ উদ্দেশ্যের কমিউনিটি পত্রিকা ‘আন্ধারমানিক’।

কথায় আছে, ‘উদ্দেশ্য মহৎ হলে, ভস্মেও আগুন জ্বলে, করো না হিংসাতুর লোকদের ভয়, বড় মনে করো কাজ, ক্ষুদ্র কিছু নয়’। বড় মন বলেই নিজের পত্রিকায় হাসান পারভেজ নিজের কষ্ট-দুঃখের কথা না লিখে লেখেন অন্যের সাফল্যের কথা। লেখেন এমন কোনো দুখীর কথা, যাতে তার উপকার হয়। হাসানের সামর্থ্য অতি ক্ষুদ্র কিন্তু সেই ক্ষুদ্রের মধ্যেই সমুদ্র। হাসানের এ সমাজসেবার দৃষ্টান্ত আসলেই অনুসরণীয়। হাসান পারভেজের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘আমরা প্রত্যেকে যেন হয়ে উঠি প্রত্যেকের তরে’-এ কামনা করছি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

সর্বশেষ খবর