শিরোনাম
বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

গৃহকর্মী হত্যা

নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত সাজা চাই

পরিবার-নিজস্ব পরিবেশ ছেড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে বহু শিশু ও নারী গৃহকর্মীর কাজ করেন। রাতদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয় গৃহকর্ত্রীর মন জয় করতে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই গৃহকর্মীদের ভাগ্যে জোটে নির্যাতন। কাজ একটু এদিক-সেদিক হলেই মারধর থেকে শুরু করে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা, ধারালো ছুরি-ব্লেডের আঁচড় খেতে হয়। অনেকে আবার গৃহকর্মীকে ঠিকমতো খাবারও দেন না। এমনকি গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী দুজনে মিলেই গৃহকর্মীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। গৃহকর্মী হত্যাও কম ঘটে না। ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবিরন বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৌদি আরবের নাগরিক গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্ট রবিবার এ রায় ঘোষণা করে। ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়ায় আবিরনের মৃত্যু হয়; যা পরে হত্যাকান্ড বলে হাসপাতালের ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা যায় রায়ে ইচ্ছাকৃত হত্যাকান্ড সংঘটনের কারণে গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্টের ৬ নম্বার আদালতে আবিরন বেগমের মামলা পরিচালনার জন্য দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব সফিকুল ইসলাম ও আইন সহায়তাকারী সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সরকার ২০১৫ সালে গৃহকর্মকে ‘শ্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন করে। এ নীতিতে গৃহপরিচারিকাদের সুরক্ষা, কল্যাণ, অবকাশ, বিনোদন ছুটিসহ সুষ্ঠু ও মর্যাদাসম্পন্ন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ নীতির যথাযথ প্রয়োগ হয় না বলে অনেকের ধারণা।

আমরা চাই গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের অবসান হোক। এটা অজানা নয়, প্রভাবশালী অপরাধীরা ভয়ভীতি, হুমকি, আপসরফা ইত্যাদির জন্য চাপ দিয়ে থাকে। নির্যাতন চালিয়ে কেউ যেন পার না পায় তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর