বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মহাসড়কে টোল আদায়

সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করবে

টোল আদায়ের আওতায় আনা হবে দেশের সব মহাসড়ক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চালুর পর সেখানে টোল আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন সেবা নেব কিন্তু পয়সা দেব না এ কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নয়, দেশের অন্যসব মহাসড়কেও টোল আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ অর্থ একটি ইয়ার মার্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে। ওই সড়কগুলো মেরামতের ক্ষেত্রে যাতে ওই অ্যাকাউন্টের অর্থ ব্যয় করা যায়। দুনিয়াজুড়ে মহাসড়ক ব্যবহারে টোল আদায়ের পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের দেশে অর্থাভাবে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যত্যয় ঘটে। এর ফলে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এক ঘণ্টার পথ অতিক্রমে দুই এমনকি তিন ঘণ্টাও ব্যয় হয়। মহাসড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যার সমাধান হবে। টোল বাবদ চলাচলকারী যানবাহনগুলোর খরচ কিছুটা বাড়লেও সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য যাতায়াত সময় কমবে। জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ী হবে। স্মর্তব্য, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৯০ লাখ, বাকি ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অর্থায়ন করবে এডিবি। দেশে এর আগে বিভিন্ন মহাসড়ক চার লেনে করতে যে ব্যয় হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় হতে যাচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে। প্রায় ২১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি টাকার বেশি। যেখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা। ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর মহাসড়কে এ ব্যয় ছিল ২১ কোটি টাকা। হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণে ছিল ৫৫ কোটি টাকা। ব্যয় বাড়লেও এ সড়কটি হবে অনেক বেশি আধুনিক। সড়কে ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসও থাকবে। সড়কপথে যাত্রী ও চালকদের জন্য থাকবে নানা সুবিধা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর