শিরোনাম
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খাদ্যে ভেজাল

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে খাদ্যে ভেজালের সংবেদনশীল ও ভয়ানক খবরগুলো সাম্প্রতিক বছরে আসছে। হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ২০১৯ সালে নিম্নমানের ৫২ খাদ্যপণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছি হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের পরও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিস্থিতির তেমন হেরফের ঘটেনি। সরকারি সংস্থার দ্বারা ভেজাল চিহ্নিত হওয়ার পরও উপযুক্ত সংস্থা দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি; ফলে ভোক্তাদের মধ্যে হতাশা, এমনকি অসহায়ত্ববোধ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতিরিক্ত অর্থের লোভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল বা পচা খাবার বিক্রির মাধ্যমে জনসাধারণের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন। খাদ্যে ভেজাল রোধে সচেতন হতে হবে এবং অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রামপর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে নিরাপদ খাদ্য কার্যক্রম। কেন্দ্রীয় ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরির পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়েও পরীক্ষাগার হবে। তিনি এসব কথা বলেছেন জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়। খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গবেষণা একান্তভাবে প্রয়োজন। একসময় দেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানি হতো। তবে সেখানেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতো। সেগুলো যথাযথভাবে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হতো না। এ জন্য খাদ্য পরীক্ষাগার স্থাপন করা জরুরি। কেননা গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষ সাধন করা যায় না। করোনার মধ্যে ঘরে ঘরে অনলাইন থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। সেখানেও বেচাকেনা বেড়েছে। সেগুলোর মান ঠিক রয়েছে কি না তাও নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার নিরাপদে পরিবহনের জন্য ডাক বিভাগ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা আশা করব ভেজাল খাদ্যপণ্য কার্যকরভাবে প্রত্যাহার এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সরকার একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর