শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

তাদের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তুঘলকি কান্ড চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছেন, অথচ অযৌক্তিকভাবে ছাত্রাবাস বা হল বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। তাঁরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর সরকার অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চালু করলেও সব শিক্ষার্থী সে সুযোগ পাননি। বিশেষ করে যেসব এলাকায় অনলাইন সুবিধা নেই, সেসব এলাকার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিতই থেকেছেন। অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে মেস ভাড়া করে আছেন। গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পূর্ব-ঘোষিত পরীক্ষা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা চলমান রাখার দাবিতে এসব কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বুধবার দিনভর রাজপথ অবরোধ করে রাখেন। রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাবসহ আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সাত কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠক শেষে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবাসিক হল বন্ধ থাকবে এমন শর্ত দিয়ে বিকাল ৪টায় সাত কলেজের পরীক্ষা চলমান রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। আবাসিক হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলগুলোয় প্রবেশ করলেও বুধবার হল ছেড়েছেন তারা। করোনা মহামারীতে আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এমনিতেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় যথাসময়ে পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশে নানা জটিলতা দেখা দেয়। দেশের সব অফিস-আদালত যেখানে স্বাভাবিক চলছে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিবেচনার দাবি রাখে। প্রতিবাদ করা এবং দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার। ছাত্রছাত্রীরা বিশুদ্ধভাবে সেটাই করেছেন। শিক্ষার্থীদের চাকরির সময়সীমা, সেশনজট সবকিছু বিবেচনায় নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর