শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সুখবরের অপেক্ষায়

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ বছরে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হতে পারে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসির তালিকা থেকে বের হওয়া। এলডিসি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে আজ জাতিসংঘ। সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-সিডিপির পর্যালোচনা সভা চলছে। এ সভাতেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে যাবে না এলডিসি থাকবে সে সিদ্ধান্ত হবে। অবশ্য এবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশকে আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এলডিসি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন বছর পরপর সিডিপি এলডিসির সদস্য দেশগুলোর মূল্যায়ন করে থাকে। সে মূল্যায়নে ঠিক করা হয় কোন কোন দেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে যাচ্ছে। দুবার এ মান অর্জন করতে হয়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এ তিন সূচকের মধ্যে অন্তত দুটিতে নির্ধারিত মান অর্জন করতে হয়। প্রথম মূল্যায়নে মান অর্জন করলে পরের তিন বছর একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে হবে। পরের মূল্যায়নে মান অর্জন করলে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। তারপর আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হয় জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের অনুমোদন পাওয়ার জন্য। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেওয়া হবে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ এখন যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, ওষুধ খাতে সুবিধা, মেধাস্বত্ব সুবিধাসহ যেসব সুবিধা পাচ্ছে তা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার হবে। তবে করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এ প্রস্তুতিকাল আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করার। এটি হলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর