ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে রাজধানীর খাল উদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনে (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ) ন্যস্ত করার দেড় মাসের মধ্যে উদ্ধারকাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার এবং প্রতি বছর এ খাতে তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছিল, বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছিল জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনের ওপর খাল উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইব্রাহিমপুর খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, গোদাগাড়ী খাল, রূপনগর খাল, সাগুফতা খালসহ ১৪টি খাল থেকে গত দেড় মাসে ৯ হাজার ৩০০ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে। একই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জিরানী খাল, মান্ডা খাল, শ্যামপুর খাল, কদমতলা খাল, কমলাপুর খালসহ দুটি বক্স কালভার্ট থেকে ২১ হাজার ৪৭ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে। উদ্ধার অভিযানের ফলে অনেক খাল আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। কর্তৃপক্ষ বলছেন, যত প্রভাবশালীই হোক খাল দখলদার কেউ ছাড় পাবে না। মানচিত্র অনুযায়ী খালের জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে তা ভেঙে ফেলা হবে। তাদের এ উদ্যোগ সাধুবাদ পেতে পারে। মনে রাখতে হবে, খালের চারপাশে ওয়াকওয়ে করে গাছ লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে হবে, যাতে পুনরায় দখল না হয়। বেশি জায়গা থাকলে বসার জায়গা, সাইকেল লেন, এমনকি জরুরি ক্ষেত্রে স্ট্রেচার কিংবা অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। তবে খাল পরিচ্ছন্ন রাখতে সবচেয়ে জরুরি পুনরায় ময়লা না ফেলা। এ জন্য এলাকাবাসীকে নিজ নিজ বাড়ির সামনের খালের দেখাশোনার দায়িত্ব দিতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ হলে খাল আর বর্জ্যরে ভাগাড় হবে না।