রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সড়কে মৃত্যুর মিছিল

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা কাম্য

দুর্ঘটনা আকস্মিক এবং তা প্রতিদিন ঘটে না- এমন কথা এখন আর বাংলাদেশে খুব একটা খাটে না। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে। কী কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তা অজানা নয়। বিশেষজ্ঞরা সেসব চিহ্নিত করেছেন। মালিক-শ্রমিকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা, বাস চলার সময় চালকের মুঠোফোনে কথা বলা, ওভারটেকিং, বাসের ফিটনেস সনদ না থাকা, চালকদের ওপর বাড়তি চাপ ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ও সেতু, সময়মতো মেরামত না হওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন এবং চালকদের অদক্ষতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ছুটির দিনে সিলেটে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৪ জন। বগুড়া, বরিশাল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও টঙ্গীতে মোট ২৬ জন মারা গেছেন। ২০২০-এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৮৬ জন। আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৬০০ জন। এ ছাড়া রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩১৮ জন ও নৌদুর্ঘটনায় ৩১৩ জন। অর্থাৎ সড়ক, রেল ও নৌ পথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩১৭ জন। দুর্ঘটনা রোধে যেসব আইন আছে তার কোনোটাই প্রতিপালিত হচ্ছে না। আইন যারা ভাঙছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী যে দূরপাল্লার চালকদের জন্য কর্মঘণ্টা বেঁধে দিয়েছিলেন তাও মেনে চলা হচ্ছে না। কথা অনেক হয়েছে। আশ্বাসবাণীও কম শোনা যায়নি। কিন্তু শুধু কথায় চিড়ে ভিজবে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, এমনকি কমিয়ে আনতে হলে পরিবহন খাতে যে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি চলছে তা বন্ধ করতেই হবে। বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধানের যথাযথ প্রয়োগ, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তৎপর হতেই হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর