শিরোনাম
বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় খাদ্যমূল্য

নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তান্ডব চলতে থাকা অবস্থায় অধিকাংশ দেশ লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জনগণের প্রতি জানিয়ে আসছে। করোনার জীবাণু ধনী আর দরিদ্রের পার্থক্য বিবেচনা না করে আঘাত হানলেও এ অদৃশ্য আঘাত আসছে মূলত গরিবের ওপর। খাদ্যসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ফলে সারা বিশ্বেই পণ্যমূল্য দ্রুত ওঠানামা করছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেল, খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ চেইনেও প্রভাব পড়েছে। দামেও হেরফের হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের চাল আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ শীর্ষক প্রতিবেদনে দাম বৃদ্ধির জন্য করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়েছে। এ জন্য মজুদ বাড়ানো ও সংকট এড়াতে আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে নিরবচ্ছিন্ন খাদ্যপণ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে সরকার। করোনা-পরবর্তী বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০ কোটি বাড়তে পারে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে কৃষি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশকে। খাদ্যপণ্যের মজুদ শক্ত থাকলে যে কোনো দেশের সরকার স্বস্তিতে থাকে। ফলে দুর্যোগ এলে সবার আগে জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা এবং এর পরই স্থান পায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত খাদ্য আমদানির উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। করোনায় কাজ হারিয়েছে দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রমিক শ্রেণি। আঘাতটা তাই বেশি করে আসছে গরিবের ওপর। রাষ্ট্রের সেখানে কী করণীয় আছে গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার। কেবল বস্তাভর্তি চাল বিতরণেই সমাধান নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিলে সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র কল্যাণমুখী হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতে এমন আঘাত এলে তা সামলে ওঠার মতো ক্ষমতা অর্জন করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর