শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট

দোষীদের শাস্তি দিতে হবে

ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন ও ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থ। এরই মধ্যে ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি টাকার বিষয়টি জানতে পেরেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব কথা স্বীকার করেছেন। কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেবে। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, ভয়ঙ্কর এ চক্রের সদস্য রয়েছেন খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারী। ঢাকা ব্যাংকের দুটি ঘটনা ছাড়াও তারা ইতিমধ্যে যমুনা ব্যাংক থেকে তিনটি ঋণ, এনআরবিসি ব্যাংক থেকে একটি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে একটি, সিটি ব্যাংক থেকে একটি, ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে তিনটি, ওয়ান ব্যাংক থেকে দুটি, ফার্স্ট লিজিং থেকে পাঁচটি, পিপলস লিজিং থেকে তিনটি, প্রিমিয়ার লিজিং থেকে একটি ও ফনিক্স লিজিং থেকে একটি করে হোম লোন নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক দলের একজন জানিয়েছেন, প্রতিটি ভুয়া এনআইডি তৈরির জন্য ১ লাখ টাকা করে ঘুষ দেওয়া হয়েছে। এসব এনআইডির তথ্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সার্ভারে থাকত। এ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের চারজন কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতে যে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে এবং গুরুতর অনিয়ম ও বিচ্যুতিকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা ব্যাংকিং খাতের সংকটকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন ব্যাংককে অর্থ লুটপাটের আখড়া বানানো হয়েছে। অর্থ লোপাটে জড়িতরা বিচারের মুখোমুখি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। এ বিষয়ে একমাত্র সরকারের ‘হস্তক্ষেপ’ ব্যাংকিং খাতকে সুরক্ষা দিতে পারবে। যে দুষ্টচক্র ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর