শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় হোক

বাংলাদেশ ও ভারত এ দুটি নিকট প্রতিবেশী দেশ বহুমাত্রিক পারস্পরিক স্বার্থের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ। এর শুরুটা হয়েছিল ঘোর দুর্দিনে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। সে সময় ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার বিবেচনায় দুটি দেশ পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে, এটাই বাস্তবতা। এ সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের জন্যও। ঢাকায় এক দিনের সফরে এসে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে সংযুক্তির ওপর বিশেষ জোর দেন। বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে কার্যকর সংযুক্তির মধ্য দিয়ে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছে ভারত। দুই নিকট প্রতিবেশীর মধ্যে সংযুক্তিটা ঠিকঠাকভাবে করা গেলে পুরো অঞ্চলের ভূ-অর্থনীতি বদলে যাবে। আর সংযুক্তির এই প্রক্রিয়ায় দুই দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাপানকে রাখার প্রস্তাব এসেছে ভারতের কাছ থেকে। বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, বিস্তৃত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের মূল প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যে কোনো পরিস্থিতিতে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আর এ দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন কেন্দ্র করে অনেক সম্ভাবনা আছে। অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। তবে সম্পর্ক যত গভীর, যত বন্ধুত্বপূর্ণই হোক না কেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে কিছু টানাপড়েন, কিছু স্বার্থের সংঘাত থাকবেই। এসব বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, দর-কষাকষি চলবে, প্রকাশ্যে তার নেতিবাচক ছাপ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত অপরাধবিহীন সীমান্ত, যাতে হত্যাকান্ড না হয়। জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরের সময় বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করা হবে। নিরাপত্তা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, বাণিজ্য,  পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা মনে করি সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর