শিরোনাম
শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস

স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ। দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্ব^রের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্ব^র থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। এখনো সংক্রমণ নিম্নমুখী। করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ বছর ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সাড়ে ১১ কোটির বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৬ কোটির বেশি। মারা গেছেন প্রায় ২৬ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এখনো ইউরোপজুড়ে করোনা বাড়াবাড়ি আকারে। তবে বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণে আছে। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৪১ জন। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের প্রায় পুরোটা সময় লোকজনকে ঘরে থাকতে হয়েছে। ঘরে বেশি সময় কাটানোর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জন্মহারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্র। করোনাকালে দেশটিতে জন্মহার নিম্নমুখী। অবশ্য প্রায় এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার নিম্নমুখী। করোনা নিয়ন্ত্রণে  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর