সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নারী দিবস আজ

মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যত্নবান হতে হবে

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নেওয়ার দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। ১৯১০ সালে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত নারীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘও ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মর্যাদা দেয়। তারপর থেকে প্রায় সব দেশেই দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবসমাজ কতটা এগোলো সে বিশ্লেষণও করা হয় এই দিনে। বাংলাদেশে নারী উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নের পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর উন্নয়ন ছাড়া যে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয় এটি অনুধাবন করে প্রতিটি সরকার এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে নারীরা দ্রুত স্থান করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে নারীর ভূমিকা। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকশিল্পে কর্মরত ৪০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগই নারী। তিন দশক ধরে দেশের সরকারপ্রধান এবং বিরোধীদলীয় প্রধানের পদ নারী রাজনীতিকদের দখলে। এ মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার পদে যারা আছেন তাঁরা নারী। গত আড়াই দশকে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এ দেশের নারীরা পরিচালনার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা অগ্রসর দেশগুলোর তুলনায় খুব বেশি পিছিয়ে না থাকলেও এখনো এ দেশের নারীরা ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সামাজিক অনাচারের শিকার। দেশের ৮০ ভাগ নারীই সহিংসতার শিকার কোনো না কোনোভাবে। এ সহিংসতা দেশজ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব নারীর ক্ষমতায়নে অন্তরায় হয়ে বিরাজ করছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে কারও কারও আচরণ আইয়ামে জাহেলিয়াতকেই যেন মনে করিয়ে দেয়। নিজেদের সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে চাইলে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যত্নবান হতে হবে। বৈষম্য ও সহিংসতার ঘৃণ্য  অভ্যাস থেকে সরে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর