মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নারী প্রতিনিধিত্ব

রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা দুঃখজনক

রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করার বিধান থাকলেও অনেক সংগঠন এর কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ইসলামী দলগুলো একেবারেই পিছিয়ে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সবকিছু না দেখার ভান করছে। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। আরপিও ৯০ খ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ২০২০ সালকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইসিতে ৩৯টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। প্রতিশ্রুতি পূরণে ইসির বেঁধে দেওয়া সময় গত বছর শেষ হলেও সিংহভাগ দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের শর্ত পূরণে অধিকাংশ দলের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন নারী নেত্রীরা। তাদের মতে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা না থাকায় শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর যদি সদিচ্ছা না থাকে সময় বাড়ানো হলে ১০ বছর পরে আবার বলবে সময় দাও। এ জন্য অনেক বেশি সময় দেওয়ার দরকার নেই। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলের কমিটিতে নারীর অন্তত ৩৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল এক যুগ আগে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল পরিচালনায় যে সীমাহীন বৈষম্য বিরাজ করছে তা দূরীকরণে সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখার বিধান করা হয়। এক যুগেও তা প্রতিপালিত না হওয়ায় ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারের অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে নারীর অংশগ্রহণ ৩৩ ভাগ নিশ্চিত করা হলেও নারী তার ন্যায্য প্রাপ্য পাবে তা ভাবার অবকাশ নেই। কারণ সে ক্ষেত্রেও পুরুষের সঙ্গে তাদের বিশাল বৈষম্য থেকে যাবে। তবে ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত হলে ন্যায্য অধিকার পূরণে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করা যাবে। সে বিষয়টি মনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সংযমী হতে হবে। কোনোভাবেই তা দু-তিন বছরের বেশি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর