বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-দিল্লি মুক্তবাণিজ্য

দ্বিপক্ষীয় কল্যাণ নিশ্চিত হবে

বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে মুক্তবাণিজ্যের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। বৈঠকে এজন্য বিদ্যমান আঞ্চলিক চুক্তিগুলো কার্যকরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। বিশেষত সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা সাফটা কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বলেছে সাফটার সুফল শুধু বাংলাদেশ কিংবা ভারত নয়, সার্কভুক্ত সব দেশই ভোগ করবে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে এটি ছিল প্রথম বৈঠক। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে বন্ধুদেশ ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোকে কাছে পেতে চাচ্ছে। স্মর্তব্য, ২০১৫ সালের পর সাফটার কোনো বৈঠক হয়নি। নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে এ মুক্তবাণিজ্য চুক্তিটিকে কার্যকর করতে পারে ভারত। বাংলাদেশ মনে করে সাফটা এমন একটি আঞ্চলিক চুক্তি যার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ইস্যুগুলো সমাধানযোগ্য পথে এগোতে পারবে। কিছু পণ্যের ওপর ভারত যে অ্যান্টি-ডাম্পিং আরোপ করে রেখেছে, এ বিষয়ে জোর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব বলেছেন, ‘অ্যান্টি-ডাম্পিং’ একটি নেগেটিভ শব্দ। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আমরা নেতিবাচক কিছু দেখতে চাই না। বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিবের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বাণিজ্য সচিব অ্যান্টি-ডাম্পিং প্রত্যাহারে তার দেশের সংশ্লিষ্ট দফতরকে জোর সুপারিশ করার আশ্বাস দেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কাস্টমস জটিলতার সমাধান, ভোজ্য তেলসহ কিছু পণ্যের ওপর ভারতের আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া এবং বিভিন্ন অশুল্ক বাধা নিয়েও কথা বলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কমপ্র্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের ওপর জোর দিয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। এ বন্ধুত্ব এগিয়ে নিতে দুই পক্ষকেই যত্নবান হতে হবে। তাতেই রয়েছে কল্যাণ।

সর্বশেষ খবর