বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বাদশ বছরে পা রেখেছে আজ। এগারো বছর আগে পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই ধূমকেতুর মতো হঠাৎ আত্মপ্রকাশ করেছিল এই দৈনিকটি। প্রথম বছরেই বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রচারসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছে। দেশবাসীর ভালোবাসায় সে অবস্থান গত এগারো বছরে প্রতিদিনই সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাফেলায় প্রতিদিন জড়ো হয়েছেন আরও বেশি পাঠক। পথচলার ক্ষেত্রে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত না করার ঐশী নির্দেশনাকে অনুসরণ করেছে এ দৈনিকটি। আমরা পাথেয় হিসেবে নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়কে। মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। যা কিছু অসত্য তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এই দৈনিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াকু ভূমিকায় কখনো ছেদ টানা হয়নি। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা। চলার পথে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়, নিজেকে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করাকে বাংলাদেশ প্রতিদিন করণীয় বলে ভেবেছে। সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য প্রত্যাশা পূরণে বহু ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করলেও এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে আমরা কখনো বিরত থাকিনি। দ্বাদশ বছরে পদার্পণের এই স্মরণীয় দিনে আমরা পাঠককে আশ্বস্ত করতে চাই- যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলা অব্যাহত রাখবে। মানুষের হৃদয়রাজ্যে স্থান পাওয়া সংবাদ মাধ্যম হিসেবে যে পরিচিতি গড়ে উঠেছে তা সমুন্নত রাখাকে কর্তব্য বলে ভাববে। প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে থাকার কৃতিত্বে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং এটিকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ হিসেবে ভাবা হবে। সংবাদ পরিবেশনে সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতিতে অটল থাকতেও আমরা বদ্ধপরিকর। ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর বদলে দেশবাসীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার বিঘোষিত নীতি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি হিসেবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সর্বশক্তিমানের সহায়তা চাই। দেশ- বিদেশের লাখ লাখ পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীর সমর্থন অব্যাহত রাখারও সনির্বন্ধ আবেদন জানাই।