শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

এগিয়ে যাওয়ার পালা

পেছনে তাকানোর সুযোগ থাকা উচিত নয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সোলিহ এবং ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমদ। সশরীরে না থাকলেও ভিডিওবার্তার মাধ্যমে যুক্ত হন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদো সুগা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সাংবাদিক স্যার মার্ক টালি। অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবই, ইনশা আল্লাহ। এটাই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যের দাবিদার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ বললেও অত্যুক্তি হবে না। সৌভাগ্যের বিষয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমাদের সামনে হাজির হয়েছে কাছাকাছি সময়ে। এমন একসময় জাতীয় ইতিহাসের দুই স্মরণীয় মুহূর্তের আগমন ঘটেছে যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে। এর পরপরই ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ স্বাধীনতা নিষ্কণ্টক হয় নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। এজন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে উড়াল দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ শুধু নয় এ জাতির লক্ষ্য আরও সামনে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর