সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দক্ষিণ এশিয়াকে বদলে দেবেন শেখ হাসিনা ও মোদি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

দক্ষিণ এশিয়াকে বদলে দেবেন শেখ হাসিনা ও মোদি

মানবতার শত্রু দরিদ্রতা, বৈষম্য, ধর্মান্ধতা ও জাতিগত বর্ণবাদ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষকে মুক্ত করার পথে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। সেই দ্বার উন্মোচনের মহানায়ক বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মুক্তির বৃহত্তর লক্ষ্যের পথে বাংলাদেশের  মুক্তিযুদ্ধে ওতপ্রোতভাবে সঙ্গী হয়েছে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত, ভারতের জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এক দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্য দেশের সমর্থন-সহযোগিতা প্রদানের উদাহরণ আছে। কিন্তু দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনী সরাসরি সর্বাত্মক যুদ্ধে যোগ দিয়েছে তার উদাহরণ দ্বিতীয়টি নেই, যা ভারত সে সময়ে করেছে। নিখাদ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক স্বাধীন-সার্বভৌম শক্তিশালী বাংলাদেশ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য শান্তি ও উন্নতির অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে এই দর্শনে বিশ্বাসী ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সে সময়ে দিগন্তহীন দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে যাতে কোনোরকম ভুল বার্তা না যায় তার জন্য তিনি অত্যন্ত সতর্ক থেকেছেন। এ কারণেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠন এবং ত্বরিতগতিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। একই কারণে পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে দ্রুত মুক্তি এবং দেশে ফিরে আনার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে ইন্দিরা গান্ধী নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত কারণ ছিল, তখন সবাই জানতেন শেখ মুজিব ফিরে না এলে সদ্য অর্জিত ভঙ্গুর স্বাধীনতাকে রক্ষা করা যাবে না এবং পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি-সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর যে লক্ষ্য নিয়ে ভারত বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে সেটাও ব্যর্থ হয়ে যাবে। পাকিস্তানের ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী এবং পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের ৫১৩৯ বর্গমাইল এলাকা তখন ভারতের দখলে। দুটি পাওয়ারফুল ট্রাম্পকার্ড। এই দুটি ট্রাম্পকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে কাশ্মীরের বেলায় ভারত নিজেদের মতো সুবিধা পাকিস্তানের কাছ থেকে আদায় করতে পারত। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিকেই তখন এক নম্বর প্রাধান্য দেয় ভারত। সেটাই হয়েছে। বাংলাদেশকে নিজেদের ইচ্ছাধীন রাষ্ট্র বানানো এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার জন্য ভারত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে এই মর্মে যে প্রপাগান্ডা করা হয় তার পক্ষে একটি যুক্তিও নেই।

সব বিশ্লেষণ এবং গত ৫০ বছরের ঘটনাবলি প্রমাণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সে পথ ধরে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ জনগণের শান্তি-সমৃদ্ধির জন্যই সে সময় ভারত-বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়। চূড়ান্ত বিজয় এবং বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার পর দুই দেশের ঐক্যবদ্ধ যাত্রা শুরু হয়। যাত্রার শুরুটা অত্যন্ত কঠিন ও কণ্টকাপূর্ণ ছিল। কিন্তু প্রাথমিক সাফল্য ছিল খুবই আশাপ্রদ। বিশ্বের সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি এবং বঙ্গবন্ধুর অবস্থানকে সুদৃঢ় করার জন্য মিত্রবাহিনী হিসেবে আগত ভারতের সেনাবাহিনীকে দ্রুত ফিরে যাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তখনো দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর ওতপেতে আছে এবং পাকিস্তান-আমেরিকা মিলে চেষ্টা করছে একটা সুযোগ ও অজুহাত পেলেই বাংলাদেশের ওপর আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে। একে তো যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা, তার সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তখনো অসংগঠিত, এলোমেলো। নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধ করার মতো কোনো সক্ষমতা নেই। তাই ভয়ানক হুমকির মুখে ভারতীয় সেনাবাহিনী চলে গেলে কী হবে। বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধী মিলে দুই সংকটেরই সমাধানের পথ বের করলেন। ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় বসে বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধী স্বাক্ষর করলেন সেই ঐতিহাসিক দলিল, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি। এই চুক্তির আদলেই ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট স্বাক্ষরিত হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে চুক্তি। দুটি চুক্তির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে অনুচ্ছেদ ছিল সেটার প্রভাব ও বাস্তবতায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহর ফিরে যায় এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও বাহাত্তরের মার্চের মধ্যে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে। যাত্রার শুরুতেই এত বড় স্ট্র্যাটেজিক সাফল্যে ভারত-বাংলাদেশের মানুষসহ সবাই আশান্বিত হয়। ধারণা হয় এভাবে দুই দেশ একসঙ্গে এগোতে থাকলে তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবে এবং আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতার চাপে পাকিস্তানের জন্য মিলিটারি ও মোল্লাতন্ত্র থেকে বের হওয়ার একটা সুযোগ হয়তো সৃষ্টি হবে। তাহলে সাতচল্লিশ থেকে চলে আসা অনবরত রক্তক্ষরণ থেকে উপমহাদেশ মুক্ত হবে। দক্ষিণ এশিয়া হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ডাইব্রাল্ট অর্থনৈতিক সহযোগিতার অঞ্চল। তাতে পুরো অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে পাকিস্তানের সাধারণ জনগণও লাভবান হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতোই তখনো পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেই পথের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠীকে নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তারপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসকদ্বয়ের বৈশিষ্ট্য হয় হুবহু পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের মতো, দ্বিজাতিতত্ত্ব আর সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা। ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বেলায় যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর পূর্ব পাঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনকে উৎসকে দেয় পাকিস্তান, যার পরিণতিতে ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী নিহত হন। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পারলেও এই দুই মহান নেতার হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের জনগণের কোনো লাভ হয়নি। বর্তমান সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশটির নাম পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার সম্মিলিত সব উদ্যোগ পাকিস্তানের কারণে ব্যর্থ হচ্ছে। ২০১৪ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন রেল ও সড়ক কানেক্টিভিটি স্থাপনের প্রস্তাবে সব দেশ সম্মতি দিলেও পাকিস্তানের অসম্মতিতে তা পাস হতে পারে না। ভারত, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলেই সার্কের মতো বিশাল সম্ভাবনাময় একটা ফোরাম মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে গত ১২ বছর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। সাম্প্রতিক একটা লেখার উদাহরণ দিই। নিয়মিত লেখক নিকোলাস ক্রিস্টফ এই গত ১১ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসে একটা কলাম লিখেছেন। লেখার শিরোনামের বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘দরিদ্রতা দূর করতে চাইলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।’ বিস্তারিত আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাত্রাপথকে সমৃদ্ধ করতে এবং ভারত-বাংলাদেশকে পুনরায় একাত্তরে বাহাত্তরের মতো গৌরবোজ্জ্বল ঐক্যবদ্ধ জায়গায় আনতে ২০১৪ সাল থেকে অসাধারণ দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়ে চলেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের সময় ২৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মোদি। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে বিদেশি কোনো সরকার প্রধান কর্তৃক সশরীরে শ্রদ্ধা নিবেদন এটাই হবে প্রথম। ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের সরকার প্রধানগণ পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আসছেন, একমাত্র পাকিস্তান বাদে। পাকিস্তানের জনগণ ও সুশীল সমাজ নিশ্চয়ই বিষয়টি লক্ষ্য করছেন। একমাত্র পাকিস্তান বাদে সব সার্কভুক্ত দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে ১০ দিনব্যাপী ঢাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। ভারতকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়াসহ সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এই দর্শনে বিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রথম মেয়াদের অভিষেক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার সব সরকার প্রধানদের দাওয়াত দিয়ে দিল্লিতে আনেন। তাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও যোগদান করেন। পুরো অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার সৃষ্টি হয়। অনেকটা নিজ আগ্রহে নওয়াজ শরিফের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানে যান। প্রতিদানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, কাশ্মীরের উরি ও পুলওমায় জঙ্গি সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটায়। সবকিছু আবার ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান। কিন্তু বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে পাকিস্তানের কিছু সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও বেসামরিক নীতিনির্ধারকরা জাগ্রত হওয়ার চেষ্টা করছেন। সুতরাং লেখার শুরুতে যে কথা বলেছি বাংলাদেশের উন্নতি-সমৃদ্ধি পুরো অঞ্চলের শান্তি ও সহযোগিতার অনুঘটক হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের এই উন্নতি সমৃদ্ধির মূলমন্ত্র থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র হিসেবে পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পথ ধরে বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে দেশ চললেই কেবল তা সম্ভব। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ, উদীয়মান বিশ্বশক্তি ভারতের সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধানোর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পাকিস্তান এগোতে পারবে না। সব রাষ্ট্রকে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। নরেন্দ্র মোদি বর্তমান সময়ে ভারতের তুমুল জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। একমাত্র মোদি ম্যাজিকে ভারতের জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলো ভোটের রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাচ্ছে। একেবারে নিম্নবিত্তের এক পরিবার থেকে ভারতের মতো বিশাল গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী শুধু নন, অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় স্বার্থে নিজের ব্যক্তিগত ও পরিবারের স্বার্থ কীভাবে বিসর্জন দিতে হয় তার অসাধারণ দৃষ্টান্ত নরেন্দ্র মোদি। ভারত প্রত্যাশা করছে হয়তো নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে। এই আকাক্সক্ষা পূরণে ভারতকে সবক্ষেত্রে অবশ্যই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদি এটা উপলব্ধি করেন বলেই ২০১৪ সাল থেকেই সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করছেন।

আঞ্চলিক অর্থে এখনো পাকিস্তান সে পথের অন্তরায়। কিন্তু ১৭ কোটি মানুষের দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে ভারত যুক্ত থাকলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সেই লক্ষ্যেই দুই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে এগিয়ে চলছেন। এই যাত্রাপথে চেতনার শক্তিকে জাগ্রত করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন নরেন্দ্র মোদি।  প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাই।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর