সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ওষুধ শিল্পের বিকাশ

সামনে অযুত সম্ভাবনা

তোরা সব জয়ধ্বনি কর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর পুঙ্ক্তির প্রতিচিত্র হয়ে উঠেছে দেশের ওষুধ শিল্প। চারদিকে উড়ছে এ শিল্পের বিজয় কেতন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজ যখন প্রশ্ন উঠছে ফেলে আসা ৫০ বছরে কতটুকু এগোতে পারলাম আমরা তখন ওষুধ শিল্পের বিকাশ অযুত সম্ভাবনার হাতছানি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ৫০ বছর আগে ওষুধের ক্ষেত্রে দেশ ছিল প্রায় শতভাগ বিদেশনির্ভর। মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিশ্বের ১৪৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। বিশ্ব মানচিত্রে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে। সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো এখন ভ্যাকসিন, হৃদরোগ, ক্যান্সার, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছে। ইতিমধ্যে দেশের অন্তত ১৪টি কোম্পানি বিভিন্ন দেশে নিবন্ধন পেয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে আরও ওষুধ রপ্তানির পথ প্রশস্ত হবে। দেশের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বাজারের ৯৮ শতাংশই দেশি কোম্পানিগুলোর দখলে। দেশের প্রায় পুরো চাহিদা মিটিয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে প্রতি বছর। সাশ্রয়ী মূল্য ও ওষুধের গুণগতমানের কারণে বাংলাদেশি ওষুধের চাহিদা বাড়ছে বিশ্ববাজারে। বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে বাংলাদেশের ওষুধের বাজার।

বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারখানা স্থাপন করে ওষুধ উৎপাদনের কৃতিত্বও দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকে বিশ্ব ওষুধ বাণিজ্যের ৫ শতাংশের হিস্যা থাকবে বাংলাদেশের। ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও দেশি ওষুধ সম্পর্কে বিদেশে ব্যাপক প্রচারণা সম্ভব হলে ওষুধ দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্যে পরিণত হবে। এটি নিশ্চিত করতে ওষুধের মান রক্ষায় আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। নকল ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কঠোরভাবে রোধ করাও জরুরি। মানহীন কোনো ওষুধ রপ্তানি না হলেও তা ওষুধ শিল্পের সুনাম নষ্টের জন্য দায়ী। বৃহৎ জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর