বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার ভয়াবহ থাবা

স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে মানতে হবে

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়েও বিধ্বংসী মাতম শুরু করেছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫ হাজার ১৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড ছিল গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন। করোনার ৩৮৭তম দিন সোমবার এই বিধ্বংসী ভাইরাসে নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে আক্রান্তের অনুমিত সংখ্যা অন্তত ১৫ গুণ বেশি বলে ধরা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি অবনতিশীল হয়ে উঠেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ঠিক এক মাসের মাথায় সংক্রমণের হার এসে পৌঁছেছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের হার। একজন করোনা চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘গত বছরের জুন-জুলাইয়ে করোনা আক্রান্ত রোগী ছিল সর্বোচ্চ। চিকিৎসা দেওয়া ১০০ রোগীর মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে পাঠাতে হতো। অথচ এই কয়েক দিনে ১০০ রোগীর ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। এসব রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ সাপোর্টও লাগছে। যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিয়ে তিনি এতদিন রোগী সুস্থ করে তুলেছেন তা এখন আর কাজ করছে না। করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট আসায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রোগীদের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের হার বেশি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আইসিইউর সংকট সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালেও দেশে আইসিইউর সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আবারও বাস, ট্রেনে অর্ধেক সিট খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনসমাগম যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।  বিপর্যয় সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে শিথিলতা দুর্ভাগ্যজনক।  এ ব্যাপারে সরকারকে কড়া হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর