বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

ইউরোপ-আমেরিকায় কভিড-১৯ দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশে সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি; কোনো কোনো দেশে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার পরিসংখ্যান থেকে সুস্পষ্টভাবে আশঙ্কার ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা ‘সুরক্ষা নির্দেশনা’ জারি হয়েছে সোমবার। এসব নির্দেশনা কীভাবে কতটা পালন হবে, কার্যকর করার দায়-দায়িত্ব কার থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগে যে কোনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার জন্য সঠিক মাত্রায় কার্যকর হয়নি। ১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১০টিই কার্যকর করার দায়িত্ব পড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। কমপক্ষে ১০টি মন্ত্রণালয় সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করবে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের ২৯টি জেলাকে করোনা সংক্রমণের তিনটি ক্যাটাগরিতে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়গুলো স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ। বিয়ে/ জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে; মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের নজর, যে কোনোভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। এ জন্য মাঠপর্যায়ে মানুষকে সচেতন করা,  কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, টিকাদান, চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলো যতটা সম্ভব নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, ৫-৬ এপ্রিল পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে, ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ শুরু হবে। করোনা চিকিৎসার মান উন্নত করার দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। ঢাকার বাইরে কভিড রোগীদের চিকিৎসা, বিশেষত আইসিইউ সেবা ও অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর