শিরোনাম
শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা

সতর্ক থাকাই প্রতিরোধের মূল উপায়

ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভাইরাস ছড়ানো, গুপ্তচরবৃত্তিসহ সাইবার হামলার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে এখন বাংলাদেশও রয়েছে। কাসাব্লাঙ্কা নামের একটি বৈশ্বিক সাইবার অপরাধী চক্র লোডা-র‌্যাট নামের ম্যালওয়্যার দিয়ে এ হামলা চালাচ্ছে। লোডা-র‌্যাটের নতুন সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোনেও আক্রমণ চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে বিপদের আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। এ অপরাধী চক্রের এখন মূল লক্ষ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের ২ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি, বেসরকারি আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাইবার হামলা তদন্তে গঠিত সরকারি সংস্থা বিডি সার্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘হাফনাম’ নামের আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ মাইক্রোসফট সার্ভারের মাধ্যমে এ হামলা চালিয়েছে। দেশের কয়েকটি আর্থিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার শঙ্কায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম-সিআইআরটি। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, এভারকেয়ার হসপিটাল, ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। হামলার বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দফতরগুলোকে চিঠি দিয়েছে কম্পিউটারকেন্দ্রিক অপরাধ তদন্ত সংস্থা বিডি সার্ট। এর আগে উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং করতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। ট্রোজান ঘরানার প্রোগ্রাম কোনো যন্ত্রে ঢুকে ব্যাংক হিসাব, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, পাসওয়ার্ড, ছবি, ভিডিও সব সংগ্রহ করতে পারে। আক্রান্ত ল্যাপটপ কোনো অফিসের নেটওয়ার্কে যুক্ত করলে সে নেটওয়ার্কের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

এখন সতর্ক থাকাই প্রতিরোধের মূল উপায়।

সর্বশেষ খবর