মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

কালবৈশাখী

পূর্বাভাস প্রচার ও সতর্কতা জরুরি

রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রবল ঝড় এসে জানিয়ে দিয়ে গেল আমরা কালবৈশাখীর মৌসুমে প্রবেশ করেছি। এতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় সন্ধ্যা ৭টায় ঝড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার। সড়কের ওপর গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় কোনো কোনো এলাকায় যানবাহন চলায় বিঘ্ন ঘটে। সৃষ্টি হয় যানজট। এ ধরনের আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের অসহায়ত্ব বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। ঝড়ের শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয় যায় অনেক এলাকায়। তবে বৃষ্টির কারণে ধুলা কমায় রাজধানীবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তির দেখা মেলে। বৃষ্টির কারণে রবিবার রাতে বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা কিছুটা কমে এলেও রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও রাঙামাটির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীতে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির কারণে আম, তরমুজ, বাঙ্গি, লিচু ও কাঁঠালের মতো উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিছু এলাকার কাঁচাঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি যেন ন্যূনতম মাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, অন্তত মানুষের মৃত্যু যেন এড়ানো যায় সে রকম চেষ্টা অবশ্যই করা যায়। রবিবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস তেমনভাবে প্রচার করা হয়নি। বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী কিছু সংস্থার সূত্রে ব্যক্তিপর্যায়ে কিছু মানুষ জানতে পেরেছিল একটি প্রবল বাতাস ধেয়ে আসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস সময় থাকতেই জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা উচিত এবং জনসাধারণের উচিত সে পূর্বাভাসকে অবহেলা না করে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া এবং যথাযথ সতর্কতা অবলম্ব^ন করা। আমাদের দেশে উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর