শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ পথে ড্রোন

নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতি বাস্তবায়ন করুন

কীটনাশক ছিটানো থেকে জরিপকাজ পরিচালনা, চলচ্চিত্রের শুটিং থেকে গবেষণা, জরুরি সাহায্য পাঠানো থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হেন কাজ নেই যে কাজে এখন মনুষ্যবিহীন আকাশযান অর্থাৎ ড্রোনের ব্যবহার নেই। ড্রোনের ব্যবহার যে বাড়ছে সরকার তা বুঝতে পারছে। গুরুত্ব অনুধাবন করেই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত বছরের অক্টোবরে ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা, ২০২০’ জারি করে। এতে বলা হয়, ড্রোন ও ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি তো করা যাবেই এগুলো উৎপাদনের কারখানাও করা যাবে দেশে। তবে দেশের স্থল সমুদ্র ও বিমান বন্দর দিয়ে অবাধে ঢুকছে ড্রোন। আমদানিকারকরা রাজস্ব ফাঁকি দিতে বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে অঘোষিতভাবে এসব ড্রোন দেশে আনছেন। আর অবৈধভাবে আনা ব্যয়বহুল ও উচ্চ প্রযুক্তির এসব ড্রোন এখন রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা, ২০২০’ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ৫ কেজির বেশি ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা বিভাগ এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। তবে খেলনা-জাতীয় ড্রোন এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রয়েছে। জানা গেছে, ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা তৈরি হলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। অবৈধভাবে আমদানিকৃত এসব ড্রোনের বেশির ভাগই মিলছে ১ থেকে ৫ লাখ টাকায়। তবে ক্রেতারা উচ্চক্ষমতার অত্যাধুনিক ড্রোন চাইলে অগ্রিম অর্ডার নিয়ে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশে অবৈধ পথে বেশির ভাগ ড্রোন আসছে মূলত ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান থেকে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অবাধে ড্রোন সংগ্রহ হচ্ছে। ফলে এভাবে সংগৃহীত ড্রোনের বিষয়ে জানতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেশের সীমান্ত এলাকায় ড্রোন দিয়ে হালকা অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক, স্মার্টফোন এমনকি সোনা চোরাচালানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের আশা কর্তৃপক্ষ অচিরেই ড্রোন নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর