শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

লকডাউনে কঠোর পুলিশ

মানবিকতা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শুরু হওয়া লকডাউনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে। সড়কগুলোয় যান চলাচল খুবই কম। মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে চেক করছে পুলিশ। প্রধান প্রধান সড়কগুলোয় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আবার কোনো কোনো সড়ক ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চলাচলকারীদের খানিকটা পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। জনগণকে লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিটি যানবাহনে চলে তল্লাশি। বৃহস্পতিবার কিছু কিছু অফিস খোলা থাকায় কড়াকড়ির মধ্যেও রাস্তায় মানুষের চলাচল ছিল। ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশার দখলে ছিল রাজধানীর সড়কগুলো। বিধিনিষেধের আওতামুক্ত অফিস খোলা থাকলেও নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েন অনেকেই। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্টে আটকা পড়লেই নানান যুক্তি দেখায় সাধারণ মানুষ। কেউ চিকিৎসার অজুহাত, কেউ মুভমেন্ট পাস সম্পর্কে কিছু জানেন না, কারও বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটাসহ নানা যুক্তি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দিচ্ছেন না পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বড় একটি অংশ যুবক-শিশু। তারা অলিগলিতে চায়ের দোকানে আড্ডা, দল বেঁধে ক্রিকেট খেলেন। সাধারণ মানুষ যতক্ষণ সচেতন না হবে ততক্ষণ করোনা সংক্রমণ ঠেকানো কঠিনই থাকবে। মানুষকে বুঝতে হবে তাদের কেন ঘরে থাকতে হবে। পুলিশ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। যারা বাইরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হন তাহলে তিনি ঘরে ফিরলে তার পরিবার, এমনকি প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হবেন। তবে মানবিকতা ও সচেতনতা উভয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর