বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন

অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে আধুনিক যুগে তার দ্বিতীয় কোনো নজির নেই। কিন্তু রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো বাংলাদেশ ভস্ম থেকে উড়াল দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করা হতো যে দেশকে সে দেশ স্বল্পোন্নত নামের অপমানজনক অবস্থান ঝেড়ে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পা দিয়েছে। এক যুগ আগেও বাংলাদেশ শাসনে মুখ্য ভূমিকা রাখতেন পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা। তাদের একেকজন ছিলেন অলিখিত গভর্নর জেনারেল। সে অপমানজনক অবস্থান ঝেড়ে ফেলে সত্যিকারের স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। করোনাকালেও থেমে নেই দেশের উন্নয়ন, মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে মাওয়া সংযোগ সড়ক, জাজিরা সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২-এর নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ প্রকল্পের প্রথম টিউবের রিং স্থাপনসহ দ্বিতীয় টিউবের বোরিংসহ অন্যান্য নির্মাণকাজ চলছে জোরেশোরে। গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে লেনের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে র‌্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাস্তবায়নকাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছে। কাজ শুরু হবে অর্থায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণচুক্তির পর। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণসহ অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে জোরেশোরে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের তোড়জোড় চলছে করোনাকালেও। অবকাঠামোর উন্নয়ন ও দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে এ মেগা প্রকল্পগুলো।

সর্বশেষ খবর