শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবন-জীবিকা সুরক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে কঠোরভাবে

মানুষের জীবন-জীবিকা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে করোনাকালে। বলা হয়, ক্ষুধার জ্বালা খুবই অসহ্য, যা মানুষকে ঝুঁকি নিতে বাধ্য করে। লকডাউনকালে এ কারণেই জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ জীবনের তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছে বাধ্য হয়ে। গত এক বছর করোনার ঘায়ে গরিবের তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। গ্রামের চেয়ে শহরাঞ্চলেই সংকটাপন্নের সংখ্যা বেশি। এ পরিস্থিতি নিরসনে শহরের দরিদ্র শ্রেণি ও নতুন দরিদ্রদের জন্য বিদ্যমান সুরক্ষা কর্মসূচির পাশাপাশি কার্যকর ও প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ আরও কর্মসূচি হাতে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। তাদের পর্যবেক্ষণ, শহরে আয়ের সুযোগ হ্রাস পাওয়ায় বস্তি থেকে গ্রামে চলে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। সবার সঞ্চয় কমে গেছে আশ্চর্যজনকভাবে। দারিদ্র্যের ফাঁদে

পড়া নারী ও নতুন দরিদ্রদের সহায়তার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাকালে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আকার আরও বাড়ালে সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে এমনটিই আশা করা যায়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর টাকা ও কাভারেজ বাড়ানোর কথা ভাবতে হবে। এসব ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ও কাভারেজ বাড়ালে সাধারণ মানুষের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সরকারকে সতর্কতার সঙ্গে জীবনের পাশাপাশি জীবিকা টিকিয়ে রাখার দিকে নজর দিতে হবে। এটা না করতে পারলে দেশে দারিদ্র্য বাড়বে। তা সামাল দিতে আবার সরকারকেই হিমশিম খেতে হবে।  আমরা এ কলামে বারবার বলেছি জীবন ও জীবিকা দুটিকেই সমভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনের স্বার্থেই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকায় বাধ্য হয়ে সরকার লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে। জীবিকার স্বার্থে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন ও জীবিকা সংশ্লিষ্ট সব খাত চালু রাখতে হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করবেন তাদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা থাকা উচিত। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের প্রবণতা রোধে জেল-জরিমানার বিষয়টিও ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর