শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
ভেষজ

নিম গাছ

নিম অতিপরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত এক-জাতীয় ওষুধি উদ্ভিদ। আমাদের দেশে সর্বত্রই নিম গাছ দেখা যায়। এ মূলত বৃক্ষদেশের উদ্ভিদ। বহু বছর আগে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এটি আমাদের দেশে এসেছে। নিমপাতা গজায় বসন্তে, ছোট ছোট সাদা ফুলের স্তবকে ভরে যায়। প্রতি ফলে একটি কখনো দুটি বীজ থাকে। নিম গাছ চার রকমের হয়- ১. সাধারণ নিম ২. মহা বা ঘোড়া নিম, এটা আকৃতিতে বড় ৩. ভূমি নিম, ছোট ৪. কার্পাক। এ-জাতীয় নিমপাতার একদিকে কিছুটা সাদা অন্যদিকে কালো। এদের গুণ প্রায় সমান। ১০০ গ্রাম নিমপাতায় প্রোটিন ১১.৬ গ্রাম, ফ্যাট ৩ গ্রাম, শর্করা ২২.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯০ মিলিগ্রাম, লোহা ৬.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ২৭৩৬ ইউনিট, ক্যালরি ১৫৮। বীজপত্রের তিক্ততা সবচেয়ে বেশি। সালফার যৌগ নিম্বিডিনের জন্যই তেতো স্বাদ। এ ছাড়া অ্যাজাডিরাকটিন, নিন্বিন, নিমবিনিন, নিমবিসিটিন তেতোর জন্য দায়ী।

নিমপাতার গুণের শেষ নেই। মশা তাড়াতে পাতার ধোঁয়া, শস্যরক্ষায় শুকনো নিমপাতা, দাঁতের যাবতীয় রোগে, জন্ডিস, কৃমি, রক্তদোষ, ডায়াবেটিস, ক্ষীণদৃষ্টিতে, হাম, বসন্তে কার্যকর। ক্ষুধাবর্ধক, অরুচিনাশক, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে, অম্লরোগে, কোষ্ঠবদ্ধতায়, আমাশয়, ব্রণে, শ্বেতস্রাবে, চুল ওঠায়, উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহার হয়। ছালের রস চর্মরোগে, নিমতেল পঙ্গপাল তাড়াতে সক্ষম, বার্নিশ প্রসাধন প্রস্তুতিতেও ব্যবহার হয়। নিমতেল পোড়া ঘা, খোসপাঁচড়া নিরাময় করে।   ►  আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর