রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

খাদ্যপণ্যের দাম

স্বল্প আয়ের মানুষের কথা ভাবতে হবে

প্রতি বছর রোজার সময় বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বিশ্ববাজারেই পণ্যের দাম চড়া। চাল ডাল চিনি গম গুঁড়া দুধ প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারেই বেশি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাড়তি জাহাজভাড়া। আগে যে জাহাজের ভাড়া ছিল ৮০০ ডলার এখন তা প্রায় ১ হাজার ৮০০। ফলে দেশের বাজারে আগে থেকেই দাম চড়া। গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশ, তেলের ৩৭ শতাংশ। তারপর রোজার রীতি অনুযায়ী পণ্যের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টদায়ক। তবে দেশি শাকসবজি, মুরগির দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ সবজির দামই কমেছে। তবু বাজারে সব ধরনের সবজি ৫০ টাকা কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারগুলোয় বেগুন, শসা, শজনে, পটোল, বরবটি, শিম, ঢেঁড়সের দাম কিছুটা কমায় ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এসেছে। চালের দাম বাড়ার পেছনে সরকারের সংগ্রহনীতি দায়ী। প্রতি বছর ধান-চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তা পূরণ হয় না। চলতি বছর সরকারি গুদামে চালের মজুদ অপেক্ষাকৃত কম। আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারের দোহাই দেওয়া হয়। দেখার বিষয়, বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম কতটা বেড়েছে আর দেশে তার কী প্রভাব পড়েছে। বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার নজির আছে। পৃথিবীর নানা দেশে ধর্মীয় উপলক্ষ বা উৎসবের সময় জিনিস-পত্রের দাম বরং কমে। উৎসব ঘিরে ইউরোপ-আমেরিকায় ছাড়ের হিড়িক পড়ে যায়। মাসখানেক আগেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। অনেক ক্রেতা বছরভর এ সময়টার জন্যই অপেক্ষা করে। ছাড় আর সেলের এ রীতি দুনিয়াজোড়া, ব্যতিক্রম মনে হয় শুধু বাংলাদেশ। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে নিত্যপণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মজুদ  ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর