মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সীমান্ত বন্ধ ঘোষণায় অভিনন্দন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

সীমান্ত বন্ধ ঘোষণায় অভিনন্দন

রমজান মুসলিম জাহানের শ্রেষ্ঠ বরকতময় মাস। সেই রমজানের অর্ধেক শেষ হয়ে গেল। সত্যিকার অর্থে মানুষ নির্বিবাদে রোজা-নামাজও করতে পারছে না। প্রতিটি মসজিদে ২০ জনের বেশি তারাবিতে শরিক হওয়া যাবে না, এটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত হয়নি, কেউ এ সিদ্ধান্ত মানেওনি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখেই নামাজ আদায় করছে। ভালোয় ভালোয় মাহে রমজান পার হোক, সব পাপ থেকে মুক্তির সুযোগ মানুষ পাক এ কামনাই করি। কারণ আল্লাহর তরফ থেকে ওয়াদা দেওয়া আছে, রমজানে বান্দার সব অপরাধ ক্ষমা করবেন। তাই যে মুসলমান মাহে রমজানে মায়ের পেট থেকে পড়ার মতো নিষ্পাপ নিষ্কলুষ হতে পারল না তার মতো দুর্ভাগা এ বিশ্বসংসারে আর কেউ নেই। আল্লাহর কাছে কামনা-প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের ওপর থেকে করোনার এ মহাপ্রাদুর্ভাব খুব তাড়াতাড়ি উঠিয়ে নেন।

করোনায় দেশ একেবারে পর্যুদস্ত, সাধারণ মানুষ নিঃস্ব-রিক্ত-দিশাহারা-জেরবার। যারা সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি, সরকারপ্রধান তারা সত্যিই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কষ্ট সেভাবে বুঝতে পারছেন কি না বুঝতে পারছি না। যদি তারা বুঝেও থাকেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে বড় বড় মানুষের, ক্ষমতাবানদের হৃদয়ে যে তাদের জন্য কষ্ট আছে, তারা যে মর্মপীড়ায় ভুগছেন তা কেউ বুঝতে চান না। সব থেকে বড় কথা, সর্বত্রই বিশ্বাস ও আস্থার একটা মারাত্মক অভাব দেখা দিয়েছে। কেউ কাউকে হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করে না, অন্যের ব্যথা নিজের বুকে লালন করে না। সবকিছু চলছে গদাই লশকরি চালে। এমনিতেই সমাজে কারও প্রতি কারও আস্থা-বিশ্বাস নেই, সরকারের প্রতি তা আরও কম। এর মধ্যে আবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কায়কারবার, কথাবার্তায় একেবারে পিত্তি জ্বলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কারও কথাবার্তার কোনো লাগাম নেই। করোনায় মৃত্যু নিয়ে যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে তা অনেক সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করতে পারছে না। তিন দিন ১১২, দুই দিন ৯৩, সাত দিন ৮৩, আবার সেদিন ১০১- এর কোনোটাই মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না। পরপর ছয়-সাত দিন ৮৩ জন, একজনও কমবেশি নেই। আবার ৯৩ জন সেখানেও কমবেশি নেই- এ কি বিশ্বাস করা যায়? এজন্যই কেউ বিশ্বাস করে না। এই যে কত দিন গণপরিবহন বন্ধ, পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ খায় কী, তাদের সন্তানদের কী করে পেট চলে খবর নেওয়ার কেউ নেই। সবকিছু বন্ধ, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি খোলা! রাস্তাঘাট ছোটখাটো গাড়িতে ভরা, গণপরিবহন বন্ধ, ১০০ টাকার ভাড়া হাজার টাকা। এতে মানুষের অসন্তোষ আরও বাড়ছে। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ খেটে খেতে পারছে না। তাদের সে যে কী দুরবস্থা! বলবার কিছু লোক থাকলেও পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ এক বছরে অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব-রিক্ত হয়েছে, কিন্তু ধনবানদের সম্পদ বেড়েছে অনেক গুণ। এ অবস্থায় একটা সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ’৫০ সালের আকালে ৫০ লাখ মানুষ মরেছে শুধু না খেতে পেয়ে। এখন কিন্তু সে রকম হবে না। এখন আর কেউ আল্লাহর ওপর নিজেকে সঁপে দিয়ে না খেয়ে মারা যাবে না। তারা কিন্তু হাত-পা চালাবে। আর এ হাত-পা চালালে তা সামাল দেওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব হবে না। কারণ ইদানীং সাধারণ মানুষ আল্লাহর ওপর সব ছেড়ে দিয়ে জীবন দিতে চায় না। বিজ্ঞানের কারণে অনেকেই বৈষয়িক হয়েছে। তাই সাবধানে পা ফেলা দরকার। সময়ের কাজ সময়ে করা দরকার। দেশ থাকলে ঠেলাঠেলি থাকবে, ঠেলাঠেলি সহ্য করার ক্ষমতাও থাকতে হবে। অনেক সংসারে নতুন বউ এসে ভাঙা সংসার জোড়া লাগিয়ে দেয়, আনন্দের বালাখানা তৈরি করে। আবার অনেক সোনার সংসার নতুন বউয়ের জ্বালাতনে অথবা নির্বুদ্ধিতায় ভেঙে খানখান হয়ে যায়। অনেক বিত্তশালী চিত্তহীন নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করে, বিদ্বান ছেলেমেয়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে অর্থবিত্ত খ্যাতির পেছনে থাকে। শেষকালে কাউকে পায় না। বাক্স বোঝাই টাকা, স্বাক্ষর করলেই ব্যাংক থেকে কোটি টাকা আসে। কিন্তু মরার কালে হাত ধরে বসে থাকার, মাথায় হাত বোলাবার কেউ নেই। আমার মা যখন বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তখন আমি তাঁর দুই পা বুকে চেপে রেখেছিলাম, তেমন সন্তানও অনেকে পায় না। এ এক বিরাট ভাগ্যের খেল। করোনা সত্যিই আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। শেষ বিচারের দিন হাশরের ময়দানে কেউ কারও না- করোনা এ জগৎসংসারেই তা দেখিয়ে দিয়েছে। করোনা আক্রান্ত মাকে সন্তান দেখেনি, বাবাকে ছেলে কবর দিতে যায়নি বা দেয়নি। তাহলে এখানেই বা কে কার? এ রকম ঘোরতর অমানিশার অন্ধকারে আবার করোনার টিকা নিয়ে অশুভ রাজনীতি। ভারত আমাদের পরম বন্ধু। অগ্রিম টাকা নিয়ে ওয়াদামতো জীবন রক্ষাকারী টিকা ঠিক সময়ে না দেওয়া কি বন্ধুত্বের লক্ষণ? সরকারকেও ঠিক বুঝি না। কারও প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়া ভালো না, করোনা টিকার ঠিকাদারি একজনকে দেওয়ায় তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে। পছন্দের এক ব্যক্তি বা কোম্পানি কখনো বিকল্প হতে পারে না। ১৮ কোটি মানুষের জীবন নিয়ে এমন ছেলেখেলা এর আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ভারত করোনায় ভীষণভাবে জর্জরিত। কিন্তু তাই বলে আমাদের সঙ্গে চুক্তিমত টিকা সরবরাহ করবে না মুনি-ঋষির দেশ ভারতের এটা শোভা পায় না। সেই অশোভনীয় কাজই ভারত করতে চলেছে।

সরকারের সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। ঘণ্টা কয়েক আগেই লিখেছিলাম, শুধু শুধু লকডাউন নয়, অবিলম্বে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিন। কারণ ভারতে করোনা পরিস্থিতি সব থেকে বেশি খারাপ। এইমাত্র শুনলাম ১৪ দিনের জন্য ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও মালামাল পরিবহন করা হবে সেটা ভালো কথা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আনা-নেওয়া অব্যাহত থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকার এবং সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।

একসময় ছিল সবাই কিছু না কিছু করতে পারত, করতও। ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’, ‘দশের লাঠি একের বোঝা’ প্রবাদের ফাঁদে পড়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর সময় আমাদের সবার আলাদা কিছু করার একটা তাগিদ ছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাঁর পরিকল্পনামতো আমরা কাজ করেছি, সফলতা ছিনিয়ে এনেছি। কিন্তু কেন যেন ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কারও কোনো ইনিশিয়েটিভ নেই। সবাই চেয়ে থাকে একদিকে- প্রধানমন্ত্রীর দিকে। যারা মন্ত্রী-এমপি-বড় বড় অফিসার রাষ্ট্রের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করছেন, সুখভোগ করছেন অথচ পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করছেন না। যার যেটুকু কাজ সেটুকুও করার চেষ্টা করছেন না অথচ পদ জাঁকিয়ে বসে আছেন। গরিব মানুষের কী যে কষ্ট লকডাউনে তা আরও শতগুণ বেড়ে গেছে, সেদিকে কারও কোনো খেয়াল নেই। সেদিন দেখলাম হাসপাতালের গেটে ভিজিটর কার্ড থাকার পরও পয়সা না দেওয়ায় রক্ষীরা এক প্রসূতির স্বামীকে নির্দয়ভাবে মারধর করেছে। নৈতিকতা কত নিচে নেমে গেছে! প্রসূতিকে রেখে স্বামী বাড়ি গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন, পাস দিয়েছেন। পাসে কাজ হবে না, টাকা চাই- এ কি ভাবা যায়? কেউ অন্যের ব্যথা, অন্যের মর্যাদা নিয়ে ভাবে না। সবার মধ্যে এক ধরনের ক্ষমতা দেখানোর সংক্রমণ হয়েছে। ক্ষমতা দেখানোর সংক্রমণ এ তো দেখছি করোনার চাইতেও মারাত্মক। সেদিন এলিফ্যান্ট রোডে আইন রক্ষাকারী কর্মীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবী এক ডাক্তারের বাহাসে খুবই মর্মাহত হয়েছি। এ সময় আইন রক্ষাকারী সদস্যদের দিনরাত পরিশ্রমের প্রশংসার শেষ নেই। করোনায় আমরা ঘরে বসে আছি। কিন্তু পুলিশসহ আইন রক্ষায় নিয়োজিত লোকজন রাতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিশ্রম করে চলেছেন। তাদের না আছে সুরক্ষাব্যবস্থা, না আছে অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা। অন্যদিকে একসময় ডাক্তাররা আশানুরূপ মানবিক ভূমিকা রক্ষা করতে না পারলেও ধীরে ধীরে তারা অনেক বেশি সেবাধর্মী হয়ে উঠেছেন, দুস্থের পাশে নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তেমনি এক মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে সেদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পীড়াদায়ক এক বাহাস হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি আমাদের চিলমারীর শওকত আলীর মেয়ে। শওকত আলী বীরবিক্রম চিলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান। এক দিন-দুই দিনের নয়, বহুদিনের চেয়ারম্যান। শওকতকে আমি ছোট ভাইয়ের মতোই ভালোবাসি, ¯ন্ডেœহ করি। একবার কুড়িগ্রাম জেলা সফরে চিলমারীতে শওকতের বাড়িতে ছিলাম। সে যে কী পরম যত্ন করেছিল কল্পনা করা যায় না। তখন জেনি বেশ ছোট। ওর ভাইয়েরা আরও ছোট। মনে হয় দুই দিন দুই রাত নানাবাড়ি থাকার মতো আনন্দে ছিলাম। ওদের বাড়ির পাশেই চিলমারী নদী। সেখান থেকে গিয়েছিলাম রাজীবপুর রৌমারী। শওকতের মেয়ে ডাক্তার হয়েছে এটা জানা ছিল না। বেশ কয়েক বছর আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম। তখন আল্ট্রাসনোগ্রামের পরীক্ষা দিয়েছিল। গিয়েছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে। আল্ট্রাসনোগ্রামের অধ্যাপক ছিলেন এনায়েত করীম। একসময় আমার টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হেলথ অফিসার ছিলেন। তার ওখানে গেলে তিনি সীমাহীন আনন্দে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। আমার জিয়নকাঠি, চোখের আলো কুশিমণির ছবি চেয়েছিলেন। আমার গলা জড়িয়ে ধরা ছবি তাকে দিয়েছিলাম। সেখানেই শওকতের মেয়ে জেনির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আমি অবাক হয়েছিলাম। বড় ভালো লেগেছিল মেয়েটিকে। ছোটবেলায় দেখেছি তাও প্রায় ১৫-২০ বছর হবে বড় প্রাণচঞ্চল হাসিখুশি। সেই জেনি পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পাওয়ার দেখাবে আমার কাছে যেন কেমন মনে হয়েছে। হতে পারে ডিউটি থেকে ফিরে খুব একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছিল না। তবে এটা হওয়া উচিত নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও বলব, মানিয়ে চলার চেষ্টা করা ভালো। মানুষ বড় কষ্টে, বড় অস্বস্তিতে আছে। মানুষ যদি না মানে লাঠি-ঠেঙ্গা দিয়ে তাদের মানানো যাবে না। অন্য কোনো পেশার কেউ হলে বলতাম কি না জানি না। কিন্তু ডাক্তারি পেশার বলে না বলে পারছি না। একে তো মহিলা, এমনিই মেয়েদের সম্মান থাকা উচিত অনেক বেশি, তার ওপর ডাক্তার। পোশাক তো পরাই ছিল। পোশাকের ওপর আবার পরিচয়পত্রের দরকার কী? ডাক্তারি অ্যাপ্রোনের ওপর নামও লেখা থাকে। আমি মানি, মেয়েটা ইচ্ছা করলেই পাস কিংবা পরিচয়পত্র দেখাতে পারত। দেখানোটাই ভালো ছিল। আমারও তিন ছেলেমেয়ে। শওকতের ছেলেমেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, ভালো লেখাপড়া করেছে। আমার বীরবিক্রম হাবিবুর রহমানের ছেলেমেয়েরা কেউ ডাক্তার হতে পারেনি, কেউ পিএইচডি করেনি, এই সদ্যপ্রয়াত আবদুস সবুর বীরবিক্রমের ছেলেমেয়েরা তেমন লেখাপড়া করেনি, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রমের ছেলেমেয়েদেরও তেমন ভালো শিক্ষা-দীক্ষা জোটেনি। শওকত আলী বীরবিক্রমের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হয়েছে এটা আমাদের গর্ব। মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে বলে গর্ব করবে, কিন্তু রাস্তাঘাটে আইনকানুন মানবে না তা হতে পারে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের সঙ্গে যে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তাকে বদলি করা হয়েছে। যিনি সত্যিকারের দোষী তাকে বদলি করা সমস্যার সমাধান নয়। আমার দেশের পুলিশ তেমন ভালো প্রশিক্ষণ পায় না তাই ভালো মানুষ হতে পারে না। কিন্তু যারা ম্যাজিস্ট্রেট তারা সাধারণ পুলিশের চাইতে অনেক বেশি মেধাবী শিক্ষিত। তারা তো ভালো হবে এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু তারাও যদি একই রকম হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায়? কদিন আগেও লিখেছিলাম, যারা সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের প্রশিক্ষণের ভালো ব্যবস্থা নেই। যারা প্রশিক্ষণ দেন তাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নন। তাই এ ব্যাপারগুলো সদাশয় সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

সর্বশেষ খবর