বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন

ধনী দেশগুলোর দায়বদ্ধ ভূমিকা কাম্য

একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে মানব জাতি যেসব কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তার অন্যতম হলো জলবায়ুর অশুভ পরিবর্তন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মেরুপৃষ্ঠের বরফের স্তরে ফাটল ধরাচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আশঙ্কাজনকহারে স্ফীত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ফিলিপাইনসহ সমুদ্রতীরবর্তী অনেক দেশ প্লাবিত হবে সাগরজলে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এ ভয়াবহ বিপদের শিকার হওয়ায় কয়েক লাখ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুসংক্রান্ত ভার্চুয়াল সামিটে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঠেকাতে কার্বন নিঃসরণ বন্ধে ধনী দেশগুলোকে মুখ্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে আগামীকাল নয় আজই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। যদি একটি দেশও কার্বন নিঃসরণ করে তাতে প্রতিটি দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং প্রতিটি দেশকে এর বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করতে হবে। ধনী বিশেষ করে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর উচিত বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ বন্ধে প্রধান ভূমিকা পালন করা। তিনি উল্লেখ করেন, নিচের দিকে ১০০ দেশ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, যেখানে জি-২০ দেশগুলো ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। এ সময়ে কভিড-১৯ মহামারীর পরে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিটি দেশের জন্য এখন অনেক বড় হুমকি, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের নিচে রাখার ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বন্ধে কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বৈশ্বিক উষ্ণতা মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য যেহেতু হুমকি হয়ে উঠছে সেহেতু এ সমস্যা মোকাবিলায় সব জাতির ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর