শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বিপর্যয়ে শিক্ষা খাত

সংক্রমণ কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে

করোনাভাইরাস সব সেক্টরকেই বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। শিক্ষা সেক্টরও এর বাইরে নয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয় মেনে নিতেই হবে। সরকার ২৩ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করলেও ওই তারিখে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদসহ সচেতন মহল। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। সরকার জোড়াতালি দিয়ে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করলেও কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সত্যিকার অর্থেই যদি লেখাপড়ার মাধ্যমকে আমরা ডিজিটাল করতে, অনলাইন ক্লাস-উপযোগী ডিভাইস শিক্ষার্থীদের দিতে এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ মনিটরিং নিশ্চিত করতে পারতাম তবে শিক্ষার বিপর্যয় অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যেত। তাহলে ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই যথাযথভাবে পাঠ গ্রহণ করতে পারত। করোনার কারণে গত বছর অটোপ্রমোশন দেওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই এ বছর আর অটো পাস বা অটোপ্রমোশন দেওয়ার সুযোগ নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৯১ শতাংশ শিশু ও তরুণ মানসিক চাপ ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত, সামাজিক দূরত্বের কারণে মানসিক চাপ ও পরিবারে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ায় তারা হতাশায় ভুগছে। এ মহামারীর পর সারা বিশ্বে ১ কোটি শিশু আর বিদ্যালয়ে ফিরবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও ঝুঁকিতে আছে। করোনা সংক্রমণ যখন কমে আসবে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে লেখাপড়া এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মানে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর