শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামর্থ্য বাড়বে

করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচার এ পর্যন্ত সবচেয়ে নিরাপদ পথ হলো টিকা নেওয়া। সারা দুনিয়ায় এ ভয়াল ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় এর কবল থেকে রক্ষা পেতে টিকার জন্য প্রায় পেরেশান প্রতিটি জাতি। যেসব দেশ টিকা উৎপাদন করছে তারাও নিজেদের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় ভারতে টিকাটির উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে। ভারত সরকার বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ২০ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহারও দেয়। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরবরাহ করা হয় ৭০ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে যাদের এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে মের প্রথম দিকে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে। তার পরও ভারতীয় কোম্পানিকে টিকার জন্য যে পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে সে পরিমাণ টিকা সময়মতো পাওয়া সম্ভব হবে কি না সংশয় রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার যৌক্তিক কারণেই চীন, রাশিয়াসহ যে কোনো উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের নীতি গ্রহণ করেছে। বুধবার রুশ ও চীনা টিকা দেশে উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর ফলে বাংলাদেশে এ দুটি টিকা উৎপাদনে কোনো বাধা থাকবে না। স্মর্তব্য, বিশ্বরাজনীতির টানাপোড়েনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত রাশিয়ার স্পুটনিক-ডি টিকার অনুমোদান না দিলেও এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর টিকা হিসেবে পরিচিত। চীনের সিনোফার্ম ভালো টিকা হিসেবে আস্থা কুড়িয়েছে। ভারতের সঙ্গে টিকাসংক্রান্ত চুক্তি বহাল রেখেই বাংলাদেশ অন্যান্য সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। দেশেও রাশিয়া ও চীনের উদ্ভাবিত টিকা উৎপাদনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভারতও তাদের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এর ফলে টিকাসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকায় আশা করা হচ্ছে দুই দেশ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে যেমন টিকা পাওয়া যাবে তেমন দেশে উৎপাদন করা গেলে সে ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুসুলভ মনোভাব দেখিয়ে সহজ শর্তে চুক্তি করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর