শনিবার, ১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখন পড়তির দিকে। শনাক্ত তিন সপ্তাহ আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে গতি মন্থর হয়ে পড়েছে কয়েক দিন ধরে, তবে মৃত্যু একটু কমছে তো আবার বাড়ছে। চলতি মাসের শুরুতে দৈনিক শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশে উঠে এখন ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। সংখ্যার হিসাবে শনাক্ত দিনে ৭ হাজারে উঠেছিল, এখন ৩ হাজারের কাছাকাছি। এ রকম অবস্থায় সরকারের কভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বুধবার এক সভায় ভারতের করোনার ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি সংকটময় হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে। সভায় ভারত থেকে আসা সব যাত্রীকে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করা, বর্ডার দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদারের সুপারিশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা তিন সপ্তাহ ধরে যে ধারায় চলছিল তাতেই সংক্রমণ অর্ধেকে নেমেছে। কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা পুরো মাত্রায় কার্যকর হলে দ্বিতীয় ঢেউ আরও নিচে নামত বলে গবেষকদের ধারণা। সংকট মেটাতে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সরবরাহ সংকটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত দুটি নতুন টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, চীনা কোম্পানির টিকা কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এগুলো আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে। প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর গণটিকাদান কার্যক্রমে সিনোফার্মের টিকা ব্যবহার করা হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার কমা শুরু করলেও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণ কমলেও করোনা আক্রান্তদের জন্য ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৭৬৯টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা ছিল ৩২৮টি। চিকিৎসা সংকট নিরসনে সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর