বুধবার, ৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রিজার্ভের নতুন রেকর্ড

করোনাকালে সাহস জোগাবে

বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত মজুদ অর্থনীতির শক্তিমত্তার পরিচয় বহন করে। সাধারণত তিন মাসের সমান রিজার্ভ বা মজুদ থাকাকে নিরাপদ ভাবা হয়। কিন্তু এখন বাংলাদেশে প্রায় ১২ মাসের আমদানির সমান রিজার্ভ রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি এখন মন্দার মধ্যে। করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত সব দেশের অর্থনীতি। এ রকম এক কঠিন সময়েও রিজার্ভ বাড়ার রহস্য কী? রিজার্ভের বেশ কয়েকটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে বড় ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। প্রবাসীরা অর্থ পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রপ্তানির প্রবৃদ্ধি প্রায় ২ শতাংশ। তবে আমদানিতে তেমন গতি নেই। আবার মহামারীর কারণে দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ঋণসহায়তা। বিদেশে যাওয়া প্রায় বন্ধ। ফলে ডলারের ওপর চাপ নেই। এসব কারণেই নতুন নতুন রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সোমবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এর আগে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। মহামারী করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা ভালো আয় পাঠাচ্ছেন। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় উঠেছে। আবার প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পেতে দেওয়ায় প্রবাসীরা হুন্ডির বদলে বৈধ পথে তাদের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী গত বছরের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। আবার সারা দেশের ব্যাংক শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও এনজিওগুলোর মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছে। করোনাকালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি দুঃসময় মোকাবিলায় জাতিকে শক্তি জোগাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর