শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি

দারিদ্র্য বিমোচনে জোর দিতে হবে

করোনাকালে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। বাংলাদেশও সে কালো থাবা থেকে মুক্ত নয়। এটি জাতির জন্য এক বড় দুঃসংবাদ হলেও সুসংবাদ হলো সে ধকল দ্রুত কাটিয়ে ওঠার সাফল্য দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান অনন্য। এ খাতে করোনা তেমন কোনো অপপ্রভাব ফেলতে পারেনি। চলতি বোরো মৌসুমেও বাম্পার ফলন হয়েছে এবং এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক থাকায় অর্থনীতিতে করোনা অভিঘাতের চাপ কমছে। রপ্তানি খাতের খরা কাটছে। রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে করোনাকালেই। তবে সামনের দিনগুলোয় দুশ্চিন্তা বাড়ছে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও বেকারত্ব নিয়ে। গত বছরের এ সময় করোনাঘাতে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল। সে ভয়ংকর দুর্দিনে সরকারি খাতের নানা প্রণোদনা ও বেসরকারি খাতের সার্বিক প্রচেষ্টায় অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। এরই মধ্যে আবারও শুরু হয়ে যায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ। এ সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে চলছে লকডাউন। কিন্তু গত বছরের মতো সবকিছু বন্ধ করে না দিয়ে শিল্পকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এতে একদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতিও রয়েছে সচল। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষই অপ্রাতিষ্ঠানিক ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে জড়িত। ফলে সবকিছু বন্ধ রাখলে কার্যত মানুষের জীবনই অচল হয়ে যাবে বলে মনে করছে সরকার। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে আয় কমেছে বিপুলসংখ্যক মানুষের। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জুতসই পথ উদ্ভাবন করা না গেলে বিপদ এড়ানো কঠিন হবে। বৃদ্ধি পাবে সামাজিক অস্থিরতা। করোনার আগে দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতি বছর অন্তত ১ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। করোনাকালে দরিদ্র হয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্রহণ করতে হবে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা।

সর্বশেষ খবর