মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কাবুলে শিশু গণহত্যা

বাংলাদেশেও পরজীবীদের রুখতে হবে

ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যায় উদ্বুদ্ধ ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিপুলসংখ্যক শিশুকে হত্যা করে নিজেদের জাত চিনিয়েছে। শনিবারের ওই হামলায় একটি প্রাথমিক গার্লস স্কুলের ৫৮ শিশু নিহত আর আহত হয়েছে দেড় শর বেশি। গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ও মর্টার হামলার মাধ্যমে এ পৈশাচিক হত্যাকান্ড  চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এ হামলার জন্য তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হতাহতের অধিকাংশই সায়েদ উল শুহাদা স্কুলের শিক্ষার্থী, তারা স্কুল থেকে বের হয়ে আসার সময় বিস্ফোরণগুলো ঘটে এবং হাসপাতালে ভর্তি আহতের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। কাবুলের পশ্চিমাংশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় চলে এ পৈশাচিকতা। এজন্য প্রেসিডেন্ট গনি তালেবানকে দায়ী করলেও কয়েক বছর ধরে এ এলাকাটিতে বারবার নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা। এর মধ্যে প্রায় এক বছর আগে একটি মাতৃসদনে চালানো হামলাও রয়েছে। আফগান প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, তালেবান তাদের অবৈধ লড়াই ও সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আবারও দেখাল, তারা চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ ও মূলগত সমাধানে শুধু উদাসীনই নয় বরং পরিস্থিতি আরও জটিল করতে চায়। আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে তালেবান ও আইএস জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে। ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যায় উদ্বুদ্ধ এসব বিপথগামী জঙ্গিবাদের কাছে নিজেদের বিবেককে কতটা জিম্মি করেছে ২ শতাধিক শিশুকে নির্বিচারে হতাহত করার ঘটনা তারই প্রমাণ। জঙ্গিবাদীরা শুধু আফগানিস্তান নয়, দুনিয়ার অনেক দেশেই মানবতার প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামকে তারা কলঙ্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে। বাংলাদেশও এ বিপদ থেকে মুক্ত নয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তালেবানদের এ-দেশীয় অনুচরদের ধ্বংসযজ্ঞ প্রমাণ করেছে তারা কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দেশের স্বাধীনতার স্বার্থেই পরজীবীদের বিরুদ্ধে সারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর