বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ডোজের টিকা

সংকট উত্তরণের পদক্ষেপ নিন

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে মহাফাঁপড়ে পড়েছে সরকার। যেসব দেশ টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ আগেভাগে নেয় সে তালিকায় সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশের নাম। কিন্তু এক উৎস থেকে টিকা কেনার সিদ্ধান্ত ঘোরতর সংকটের উদ্ভব ঘটিয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত ৩ কোটি টিকা কেনার জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। ভারত সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে। কিন্তু ভারতে ভয়াবহভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নিজেদের চাহিদা পূরণ করাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকা উৎপাদনের উপকরণ রপ্তানি বন্ধ করায় সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকেও চুক্তির শর্ত পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছিল তাতে দেখা দিয়েছে সংকট। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত সোমবার পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৬ জন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছে ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৭১৪ জন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আছে ৮ লাখের কিছু বেশি টিকা। সে হিসেবে ১৫ লাখের বেশি লোক সময়মতো টিকা পাবে না। তবে আশার কথা হলো, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির উদাহরণ রয়েছে। এর ফলে আরও বেশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এ ধরনের টিকার ক্ষেত্রে দুটি ডোজ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে যদি কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ দেরিও হয় তার পরও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া দরকার। কারণ প্রথম ডোজে আসলে নতুন অ্যান্টিজেন শরীরের ভিতর প্রবেশ করে, দ্বিতীয় ডোজের মাধ্যমে তার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে যেভাবে হোক চলতি মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে। অগ্রিম টাকা নিয়ে যারা বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে সেই সেরাম ইনস্টিটিউটের উচিত হবে বাংলাদেশের প্রয়োজনের দিকে নজর রেখে সরবরাহ নিশ্চিত করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর